কাপাসিয়ায় পুলিশ দিয়ে ব্যবসায়ীকে মারধর করালেন চন্দন!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ীকে পুলিশ দিয়ে মারধর করানোর অভিযোগ উঠেছে আরেক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি গত কয়েক দিন ধরে ‘টক অব দ্য টাউনে’ রূপ নিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ধান বাজার গলিতে আমার দেশ টেলিকম নামে মোবাইল ফোনের ব্যবসা করেন উপজেলার রাউৎকোনা গ্রামের যুবক শহীদুল্লাহ।

গত শনিবার ডিশ লাইন কেটে দেওয়ায় বর্ণালী কেবল নেটওয়ার্কের কর্মচারী জজ মিয়ার সাথে বাগবিতন্ডা হয় তার।

এর জের ধরে ইফতারের আগে রোজা অবস্থায় তাকে পুলিশ দিয়ে দোকান থেকে টেনে-হেঁচড়ে বের করে থানায় নেন ডিশ ব্যবসায়ী চন্দন রক্ষিত।

এ সময় গালাগাল করে শহীদুল্লাহকে ক্যাশ লক ও দোকান বন্ধ করার সুযোগও দেওয়া হয়নি।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ব্যবসায়ীরা। তারা চন্দনের জুয়েলারি দোকান ঘেরাও করে বিচার দাবি করেন।

পরে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন প্রধানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। চন্দন থানা থেকে শহীদুল্লাহকে ছাড়িয়ে আনেন।

একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারের কারও কোন সমস্যা হলে সমিতিকে জানানোর নিয়ম। তা না করে পুলিশ দিয়ে মারধর করা অন্যায় ও অমানবিক। চন্দন চড়া সুদের ব্যবসাও করেন।

এদিকে ওই ঘটনায় বাজার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বদু নীরব থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন অনেকে।

বুধবার বিকেলে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, চন্দনের কাজ চন্দনে করছে, শহীদুল্লাহর কাজ শহীদুল্লাহ করছে। চেয়ারম্যান দায়িত্ব নিছে, সমাধান হয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী বলেছেন কোন সমাধান হয়নি-জানালে সভাপতি বলেন, আমি ঢাকায় একটা অফিসে আছি। আপনি কাপাসিয়ায় আমার অফিসে আসেন কথা বলি।

আরও খবর