কাপাসিয়ায় জাল সনদে শিক্ষকতা, ধরাছোঁয়ার বাইরে রুকনুজ্জামান

আলোকিত প্রতিবেদক : তিনি জাল নিবন্ধন সনদে চাকরি করছেন এক যুগ ধরে। ঘটনা ফাঁস হলেও কিছুই হয়নি তার।

ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা এই শিক্ষকের নাম মো. রুকনুজ্জামান। রায়েদ ইউনিয়নের বেলাশী মদিনাতুল উলুম বালিকা আলিম মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী তিনি।

বিষয়টির ওপর গত বছরের ৬ নভেম্বর আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে চলে তোলপাড়।

পরে শিক্ষা প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তারা তা কৌশলে ধামাচাপা দেন। খোদ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালকও রহস্যজনক ভূমিকা পালন করেন।

খোঁজ নিয়ে প্রাপ্ত তথ্যমতে, রুকনুজ্জামান একই ইউনিয়নের ভূলেশ্বর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ২০১০ সালে ওই মাদ্রাসায় সহকারী মৌলভী পদে নিয়োগ পান।

নিয়োগের সময় দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদে দেখা যায়, রুকনুজ্জামান ২০০৮ সালের নিবন্ধন পরীক্ষায় ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার রোল নম্বর ১০৭১৮৮৫৪ ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮০০১৭৬৯৬/২০০৮।

এই সেই জাল সনদ

কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে সনদ যাচাই পদ্ধতিতে বারবার চেষ্টা করেও সনদটির কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। স্কুল লেভেলে ওই রোল নম্বর মিললেও উত্তীর্ণের নাম দেখা যায় নাজমুল হুদা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রুকনুজ্জামান সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা জালাল উদ্দিনের আমলে নিয়োগ পেয়েছেন। এতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে প্রচার রয়েছে।

রুকনুজ্জামান প্রথমে সাড়ে ১২ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পান। পরে তা বেড়ে ১৬ হাজার টাকা হয়। তিনি ইনক্রিমেন্ট ও ভাতাসহ মাসে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার টাকা উত্তোলন করছেন।

একজন শিক্ষক বলেন, এভাবে জাল সনদে অযোগ্যরা নিয়োগ পাওয়ায় যোগ্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের তহবিল থেকে লাখ লাখ টাকা অপব্যয়ের পাশাপাশি শিক্ষার মানও নষ্ট হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আরও খবর