শ্রীপুরে ‘টাকা না পেয়ে’ মাকে জবাই, মেয়ে ও সহযোগী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে মিনারা বেগম (৫৭) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের একমাত্র মেয়ে শেফালী (৩৫) ও সহযোগী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজিরচর এলাকার মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানাকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই আমজাদ শেখ জানান, ওই নারী ভাংনাহাটি এলাকার আবু তালেবের স্ত্রী। তার গলাকাটা লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলা রুজু হয়।
শেফালী বিজিবেড পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকার স্বামী ফরিদের সাথে ঝগড়া হলে তিনি মায়ের বাড়িতে চলে যান।
পরে শেফালী তার মাকে নয় শতাংশ জমি ও দুটি গরু বিক্রি করে টাকা দিতে চাপ দেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তাকে চড় মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শেফালী তার মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তিনি সহকর্মী সোহেলকে দাবিকৃত এক লাখ টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা অগ্রিম দেন।
এরপর তারা ওয়াজ মাহফিলে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যায় অটোরিকশায় করে বরমীর উদ্দেশে রওনা হন। পথে সেভেন আপের মধ্যে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে মিনারাকে খাওয়ানো হয়।
ভিটিপাড়ার সাধুখার টেকের কাছে গিয়ে রিকশা ছেড়ে দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে শেফালী তার মায়ের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন।
পরে তিনি মিনারাকে মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুকের ওপর বসে দুই হাত দিয়ে মাথা ও গলা টান দিয়ে ধরেন। সোহেল ছুরি দিয়ে জবাই করেন।