কালিয়াকৈরে সংখ্যালঘু পরিবারকে মারধর করে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এক সংখ্যালঘু পরিবারকে মারধর করে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বাজারের পাশে বিশ্বনাথ শীলের বাড়ি। দরিদ্র পরিবারটি এখানে গত ২৭ বছর ধরে বসবাস করছে। বিশ্বনাথ ও তার দুই ছেলে নরসুন্দরের কাজ করেন।

বিশ্বনাথ বন বিভাগের পতিত জমিতে টিনশেডের বাড়িটি করেছেন। বাড়ির দক্ষিণ পাশের খালি জায়গায় ফলমূল চাষ করেন। তার প্রতিবেশী মোক্তার গংও বনের জমিতে বাস করে।

এই মোক্তার গত বছর থেকে বিশ্বনাথের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছেন। এ পর্যন্ত আদালতে করেছেন তিনটি মামলা। মামলায় এলাকার প্রতিবাদকারী কয়েকজনকেও আসামি করা হয়। পরে সত্যতা না থাকায় আদালত তা খারিজ করে দেন।

এদিকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকালে মোক্তার, নেহাজ উদ্দিন, তাইজুদ্দিন, সৈয়দ আলী ও তার স্ত্রী মাজেদা ওই জমি দখলে নিতে জোর করে বেড়া দেন। এতে বাধা দেওয়ায় বিশ্বনাথ ও তার স্ত্রী চম্পা রানীকে মারধর করা হয়। পরে তাদেরকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি বিনয় ভূষণ বর্মণ, সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম আজিজ, যুবলীগ নেতা ইব্রাহীম সিকদার, সাবেক ইউপি মেম্বার মো. শহীদুল্লাহ, সাবেক মেম্বার ছাবেদ আলী, আবদুল মালেক, সুশীল কোচ, মহিম মিয়া ও তহিম মিয়াসহ এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, মোক্তার গং কাউকে মানে না। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে। সালিশে তারা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে জমি দখল না করার অঙ্গীকার করলেও মামলা ও হুমকি-ধমকি অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মোক্তারকে বিএনপির দু-একজন সুবিধাবাদী ইন্ধন দিচ্ছে। থানায় এজাহার দেওয়ার পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এ ব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

আরও খবর