গাজীপুরে ‘মেয়রের স্বাক্ষর জাল করে’ সাড়ে ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ
আলোকিত প্রতিবেদক : সাতটি চেকের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রায় সাড়ে ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
অনুসন্ধানের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক রাশেদুল ইসলাম বাদী হয়ে বুধবার তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রাহাতুল ইসলাম ও সাবেক প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছায়েদুর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নজরুল ইসলাম ২০১৭ সালে হিমারদিঘী এলাকার আশরাফের বাড়ি থেকে নিজাম উদ্দিন রোড পর্যন্ত আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শান্ত শিহাব এন্টারপ্রাইজকে ১৪ লাখ ৮১ হাজার ৯৫৩ টাকা বিল পরিশোধ করেন। পরে তিনি নথির অংশ পরিবর্তন করে সিটি করপোরেশনের ব্যাংক হিসাব থেকে আবারও সমপরিমাণ টাকা তুলে নেন।
এভাবে গাছা রোড থেকে বঙ্গবন্ধু কলেজ পর্যন্ত রাস্তার এইচবিবি ও কার্পেটিং কাজের ঠিকাদার মেসার্স রক্তিম বিল্ডার্সকে ২০ লাখ টাকা এবং পূর্ব আরিচপুরের সুলতানের বাড়ি থেকে শাহীনের বাড়ি পর্যন্ত ড্রেন ও রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার এম এম হক এন্টারপ্রাইজকে ১৬ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করে ১০ লাখ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
একই প্রক্রিয়ায় আরও চারটি চেকের মাধ্যমে ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৭ লাখ ৫২ হাজার ৮৭৫ টাকা তুলে নেন নজরুল ইসলাম।
আসামি ছায়েদুর রহমান কোন কিছু যাচাই-বাছাই না করেই চেক ইস্যু রেজিস্ট্রারে স্বাক্ষর করেন। আর রাহাতুল ইসলাম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে চেক ইস্যু করার নিয়ম থাকলেও তিনি নজরুল ইসলামের হিসাবে চেক ইস্যু করে টাকা আত্মসাতের সুযোগ করে দেন।
চেকগুলোতে সাবেক মেয়র এম এ মান্নানের স্বাক্ষর ছিল। তবে হস্তলিপি বিশারদ দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা জাল পাওয়া যায়।