বিআরটিসির গাজীপুর ডিপোতে দুর্নীতি, একজনের চাকরিতে আরেকজন!

আলোকিত প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) গাজীপুর ডিপোতে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারি না থাকায় ম্যানেজার কামরুজ্জামান খেয়াল-খুশিমত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, নগরীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টেকনগপাড়া এলাকায় বিআরটিসির বাস ডিপো ও কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা। ডিপোটির অধীনে গাজীপুর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২৩টি দ্বিতল বাস ও কুড়িল বিশ্বরোড থেকে গাউছিয়া পর্যন্ত ২২টি আর্টিকুলেটেড বাস চলে।

ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) কামরুজ্জামান এখানে দুই বছর ধরে আছেন। তিনি নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

কামরুজ্জামান দুজন চালককে তার অধীনে রেখেছেন। তারা হলেন জামান ও হুমায়ুন। হুমায়ুন আগে কামরুজ্জামানের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ ডিপোতে ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, জামানকে দিয়ে বিধি বহির্ভূতভাবে মেরামত সংক্রান্ত বিভিন্ন মালামাল কেনা হয়। ভাউচারগুলো যাচাই করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে।

এদিকে গত এক বছর আগে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ পান নারায়ণগঞ্জের শাহেদ। কিন্তু তিনি যোগদান করেননি। শাহেদের স্থলে কাজে যোগ দেন তার বড় ভাই আল-আমিন।

বিষয়টি নিয়ে গত মাসে আলোকিত নিউজ খোঁজ নেওয়া শুরু করলে আল-আমিন সটকে পড়েন। ম্যানেজার কামরুজ্জামান তাকে অবৈধভাবে চাকরির সুযোগ দেন বলে অভিযোগ।

একাধিক চালক অভিযোগ করেন, বেতন উত্তোলনের সময় হুমায়ুনের মাধ্যমে ম্যানেজার কামরুজ্জামানকে চার হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। টাকা না দিলে নানা কারণ দেখিয়ে বেশি টাকা কেটে রাখা হয়। কিছু বললে দুর্ব্যবহার ও বদলির হুমকি দেওয়া হয়।

চালকরা আরও বলেন, তারা ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পান না। ইতিমধ্যে বিআরটিসির চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গোপনে একটি লিফলেট প্রচার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ম্যানেজার কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আরও খবর