শ্রীপুরে ফুটপাত দখল, ছিনতাই ও যানজট নিয়ে বিশেষ সভায় উদ্বেগ
সাদেক মিয়া, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে ফুটপাত দখল করে দোকানপাট, অনিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা, ছিনতাই ও অসহনীয় যানজটে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের ক্ষণিকা সভাকক্ষে যানজট নিরসন সম্পর্কিত বিশেষ সভায় এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, পৌর মেয়র আনিছুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোন্দকার ইমাম হোসেন, মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক নূরুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম মোল্লা, শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, শ্রীপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রুহুল আমীন খান রতন, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
মেয়র আনিছুর রহমান বলেন, পরিবহনে চাঁদাবাজি কখনো বন্ধ হয়নি। এটা পুরোপুরি বন্ধ হবে না। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
শ্রীপুরে এখন যা চলে, তা চাঁদাবাজি নয়, চাঁদাবাজির প্রচার। অনুসারীরা নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ১০-২০ টাকা চাঁদা তুলে থাকে। এসব চাঁদার কোন অংশ নেতারা পায় না বা জানেও না।
তিনি আরও বলেন, ফুটপাত দখল করে লিজের নামে স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করা হলে যানজটও কমে যাবে।
ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেনসহ অন্যরা বলেন, শ্রীপুর ভবনের পশ্চিম গেট, টেংরা রোডের মোড়, হাসপাতাল গেট থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকা ও ডিবি রোডে প্যাডেলচালিত রিকশা ব্যতীত অটোরিকশা চলতে দেওয়া যাবে না।
সাংবাদিক আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ বলেন, বিভিন্ন সভায় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় কি না, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায় না। শুধুমাত্র সভা না করে সিদ্ধান্তসমূহ কার্যকরে গুরুত্ব দিতে হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান ও ইউএনও তরিকুল ইসলাম তাদের বক্তব্যে বলেন, আগামী ২৬ তারিখ থেকে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে সড়ক-মহাসড়কের ফুটপাত থেকে সকল প্রকার দোকান সরিয়ে নেওয়ার সময় বেঁধে দিয়ে প্রচারণা এবং পরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।