কাপাসিয়ায় ‘জাল দলিল’ দিয়ে ২ বিঘা সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জাল দলিল দিয়ে প্রায় দুই বিঘা সম্পত্তি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের বড়হর মারুলিয়াপাড়া এলাকার মৃত নাসির উদ্দিন আকন্দের ছেলে দুজন। বড় ছেলে কামাল হায়দার ওরফে বাদল মিয়া ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা ও আইসিটি শাখার অস্থায়ী কর্মচারী।

তিনি ইতিপূর্বে বড়হর মৌজার আরএস ১১৬ ও ১০৩ নং দাগের সাড়ে ৬১ শতাংশ জমির নামজারি ও জমাভাগের জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। নথি নম্বর ৩৪৮৩।

এতে মালিকানা হিসেবে ঢাকা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ১৯৭৫ সালের একটি দলিল দাখিল করা হয়। দলিল নম্বর ৫০০। দাতা হিসেবে তাদের বাবার নাম উল্লেখ রয়েছে।

খবর পেয়ে বাদলের ছোট ভাই শাহজাহান আকন্দ গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত আপত্তি দেন। পরে এসিল্যান্ড নাজমুল হুসাইন গত ২৩ জানুয়ারি দলিলটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চিঠি প্রেরণ করেন।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুম থেকে যাচাই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ জানুয়ারি রেজিস্ট্রিকৃত ৫০০ নং দলিল ১ নং বহির ৯০ নং ভলিউমের ৬৫-৬৯ নং পৃষ্ঠায় লিপিবদ্ধ থাকার কথা। কিন্তু দলিলটি লিপিবদ্ধ না থাকায় রক্ষিত রেকর্ডের সাথে মিল নেই।

তবে ওই তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ২ নং বহি মোতাবেক ৫০০ নং দলিলের মৌজা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর ও দাগ নং ৪১৩। তাতে হস্তান্তরিত জমির পরিমাণ ৯০ ডেসিমাল।

শাহজাহান আকন্দ অভিযোগ করেন, ১৯৭৫ সালে বাদল মিয়ার বয়স ছিল ছয়-সাত বছর। তার বাবা কাউকে জমি রেজিস্ট্রি করে দেননি। এ ছাড়া দলিলে বাদল মিয়াকে দাতার একমাত্র ঔরসজাত সন্তান উল্লেখ করা হয়েছে। এটা ভয়ানক মিথ্যা।

তিনি আরও বলেন, দলিলটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। গাজীপুর আদালতে জাল-জালিয়াতির মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাদল মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, দলিল আমার বাবা দিয়ে গেছে। আদালতে মামলা করুক। আদালত ভলিউম ডাকলে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

একমাত্র ঔরসজাত সন্তান প্রসঙ্গে বাদল মিয়া বলেন, বাবা আমার খুব ভক্ত ছিল। আমি ঢাকা শহরে বসবাস করি। আগাগোড়া জানি না।

আরও খবর