শ্রীপুরের বলদীঘাট হাইস্কুলে ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে অর্থ আত্মসাৎ!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদে চাকরি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত আবদুল কুদ্দুছ হায়দার উপজেলার বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।

তিনি কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল কাদির প্রধানের ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুদ্দুছ হায়দার ১৯৯৮ সালে বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রজেক্ট সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন। পরে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত হন।

সাত মাস চাকরির পর তিনি বলদীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পান। বিধি অনুযায়ী, সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হিসেবে ৮-১০ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা লাগে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কুদ্দুছ হায়দার যোগীরসিট উচ্চ বিদ্যালয় ও টেংরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা দেখিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেসব বিদ্যালয়ে কখনো শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন না।

বরমী ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ফকির বলেন, কুদ্দুছ হায়দার এমপিওভুক্ত হয়ে এক বছরেরও কম ছিলেন। তিনি ২০০২ সালের ৪ আগস্ট চাকরি ছেড়ে চলে যান।

এদিকে কুদ্দুছ হায়দার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে ১৫ লাখ ২৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। পরে ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তদবির করে আবারও বহাল হন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কুদ্দুছ হায়দার বলেন, আমার নিয়োগ ও অভিজ্ঞতার সনদ সঠিক। আপনারাও তো কোন না কোন শিক্ষকের ছাত্র। বাদ দেন না এসব কথা!

বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল হক বলেন, কুদ্দুছ হায়দারের নিয়োগে জটিলতা রয়েছে। তদন্ত করলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুল হক বলেন, কুদ্দুছ হায়দারের নিয়োগে জটিলতা আছে কি না, বলতে পারছি না। খতিয়ে দেখলে বলা যাবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমীন বলেন, বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জেনেছি। নিয়োগে কোন জটিলতা থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর