মোক্তারুজ্জামান মুক্তির কবিতা ‘অতঃপর পাগলি মা হল’
অতঃপর পাগলি মা হল
-মোক্তারুজ্জামান মুক্তি
সে কোন অচেনা গাঁয়ের রমণী
ছিন্ন-ছেঁড়া শাড়ি পরা
মুছে গেছে তার বুদ্ধি,
আপনজন ছেড়ে এসেছে চলে
নেই কোন ডর-ভয়
কামনা-বাসনা ও অনুভূতি নেই,
সে পথে পথে চলে
লোকে তাকে দেখে পাগলি বলে।
সে আপনজন ভুলে
ভালবাসার সংসার ফেলে
প্রিয়জনের আড়ালে,
ছুটছে কোন অজানা পথে
যেখানে খুশি সেখানে হাসে
মন যেখানে-সেখানে ছুটে,
বহু দিন-রাত্র বয়ে গেল
গা হতে কাসটে গন্ধ বহে
ধূলিবালি মেখে চলে,
তার কোন অনুভূতি নেই
তাই তো লোকে পাগলি বলে।
প্রকৃতির নিয়মে নারীদেহে ঋতুস্রাব
রক্তমাখা কাপড়ে সে চলে
সে বুঝে না তার অনুভূতি,
অচেনা এক পুরুষ এসে
গন্ধমাখা শরীরে ঝাঁপিয়ে পড়ে
কামতৃপ্তি নেয় মিটিয়ে,
সে তো ভাদ্র মাসের কুকুর
জানোয়ার স্বভাবের পুরুষ।
সেই হতে পাগলি বহন করে
একটি ভ্রুণ,
অচেনা পুরুষটি চলে গেল
পাগলি পথে পথে ঘুরে,
গর্ভে বড় হতে থাকে একটি শিশু
জন্ম নেয় পথের ধারে।
অতঃপর পাগলি মা হল
নিষ্পাপ শিশুটির পিতা হবে কে?