মোক্তারুজ্জামান মুক্তির কবিতা ‘নাবালিকা বধূ’
নাবালিকা বধূ
-মোক্তারুজ্জামান মুক্তি
তনুর বিয়ের ফুল ফুটেছে
বজ্জাত কিছু সমাজ শকুন
বাজায় তারা ঢাক-ঢোল।
তনুর বাবাকে বুঝায়
মিষ্টি তোমার তনু মেয়ে
গঞ্জে আছে দুষ্ট ছেলে
তনুকে পাইলে দেখা
করবে তারা গন্ডগোল।
তনুকে দিলে বিয়ে
হারাবে না তনু কোন কূল।
মায়ের স্নেহভরা, বাবার আদরে গড়া
আঙ্গিনা ছেড়ে তনু দেখেছে স্কুল।
শত কচি মনের মাঝে খেলা করে
দুরন্ত-দুর্বার, মায়া তার কচি বনে হাসে
কাঁদে শুধু দেখলে পিতার রাঙা চোখ।
অফুটন্ত গোলাপ ফুলের কলি
গড়ন তার কচি ফুলি
সীমানা তার ঘর ও স্কুল।
সে বুঝে পিতার স্নেহ, মায়ের আদর
বুঝে না সে সংসার।
নাবালিকা সে
বুঝে শুধু মায়ের বুলি
এ সমাজে তনু অফুটন্ত কলি।
স্বার্থবাদী সমাজে আছে কিছু লোক
ঢাক-ঢোল বাজিয়ে বলছে তারা
তনুর বিয়ের ফুটেছে ফুল।
চাটুকারের কথার ফাঁদে পড়ে
অতঃপর তনুকে দিল বিয়ে
আজি তনু হলো নাবালিকা বধূ।