কাপাসিয়ার টোক ভূমি অফিসে খবীর মোল্লার ঘুষ বাণিজ্য
নিজস্ব প্রতিবেদক, কাপাসিয়া : গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি নিয়ে জনসাধারণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
জমির খারিজ ও খাজনার রসিদ কাটতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অনেক বেশি টাকা।
আলোকিত নিউজের অনুসন্ধানে ভূমি অফিসের সেবার বিপরীতে বাণিজ্যের এসব তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।
ডুমদিয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন জানান, তার জমির খাজনা দিতে গেলে ভূমি কর্মকর্তা তিন হাজার টাকা দাবি করেন। পরে দুই হাজার টাকা নিয়ে রসিদ দেন এক হাজার টাকার।
একই গ্রামের আবদুল খালেক জানান, তিনি গত ঈদের আগে পৌনে তিন বিঘা জমির খারিজ করতে গেলে ভূমি কর্মকর্তা খবীর মোল্লা ২৬ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ২৫ হাজার টাকায় রাজি হয়ে নয় হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা খবীর উদ্দিন মোল্লা টোক ও রায়েদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন। তার পৈতৃক বাড়িও কাপাসিয়ার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামে।
এর আগে তিনি কড়িহাতা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ছিলেন। নিজ উপজেলায় বারবার পোস্টিং পাওয়ায় তার দাপটও চোখে পড়ার মত।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টোক ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কয়েকজন দালাল কাম ওমেদার রয়েছে। অফিসটির ঘুষ বাণিজ্য এখন মুখে মুখে।
এক বিঘা জমির খাজনার রসিদে খবীর মোল্লাকে দিতে হয় দুই হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। খারিজ করতে গুনতে হয় ১০-১৫ হাজার টাকা।
খারিজ করলে টাকা লাগে। নাজিরকে দিতে হয়, সার্ভেয়ারকে দিতে হয়-এমন কথাও তিনি বলেন বলে অভিযোগ।
জানতে চাইলে খবীর উদ্দিন মোল্লা আলোকিত নিউজকে বলেন, টোকে আমি কোন খারিজ করি নাই। পাবলিক আবেদন করে, দালালরা করে।
তিনি আরও বলেন, টোকে অনেক সরকারি কাজ নিয়ে আমি ব্যস্ত আছি। বাইরে কি হয়, এটা আমি জানি না।
চলবে…