কাপাসিয়ায় ‘লাল মাটির টিলা’ কেটে দেদারসে মাটি বিক্রি

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় লাল মাটির টিলা কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে দেদারসে।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বড়চালা এলাকায় কিছুদিন ধরে এ বেআইনি কর্মকাণ্ড চললেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাপাসিয়া-রাণীগঞ্জ সড়কের পাশে বড়চালা এলাকার চরপাড়া নামক স্থানে উঁচু লাল মাটির টিলা। দুটি ভেকু দিয়ে দিন-রাত টিলার মাটি কেটে সমতল করা হচ্ছে।

সমতল ভূমি থেকে টিলাটির উচ্চতা ১৫-২০ ফুট। ইতিমধ্যে প্রায় এক বিঘা আয়তনের টিলা কাটা হয়েছে।

প্রতিদিন বেশ কিছু ট্রলি ও ট্রাক দিয়ে মাটি বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিয়ম না মেনে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর ও কৃষি জমি।

এলাকাবাসী জানান, একটি মাটি ব্যবসায়ী চক্র হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে টিলাটি কিনেছে। তারা আইন-কানুন না মানায় পরিবেশের ভারসাম্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে।

বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী, ব্যক্তি মালিকানাধীন হলেও টিলা শ্রেণির ভূমি ও সড়কের পাশ থেকে বাণিজ্যিক উদ্দেশে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। আইন লঙ্ঘনকারীদের অনূর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, মাটি বিক্রেতা হাবিবুর রহমানের স্ত্রী তানিয়া আক্তার গত ২৭ ডিসেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করেন। এতে উঁচু আট গণ্ডা জমির কিছু মাটি কেটে ফসলের উপযোগী করার কথা বলা হয়।

পরে চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খান ‘মানবিক কারণে কাজটি করতে পারে’ লিখে অনুমতি দেন। আবেদনটিতে জমির শ্রেণি, পরিমাণ ও মাটি বিক্রির তথ্য গোপন করা হয়েছে।

ঘটনাটি জানার পরও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ।

তবে আলমগীর হোসেন আলোকিত নিউজকে বলেন, তিনি টিলা কাটার খবর পেয়ে দুই-তিনবার বাধা দিয়েছেন। সপ্তাহ খানেক আগে এসিল্যান্ড ও ইউএনওকে জানিয়েছেন। ছবি তুলেও পাঠিয়েছেন। এখন তারা ব্যবস্থা নেবেন।

এ ব্যাপারে মাটি বিক্রেতা হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরও খবর