শ্রীপুরে মা-ছেলে হত্যাকাণ্ডে কাপাসিয়ার রহমত উল্লাহ গ্রেফতার
সাদেক মিয়া, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে গত ৭ জানুয়ারি তালাবদ্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত রহমত উল্লাহ (২৯) কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের কুশদী গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তিনি কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার শান্তির বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়া থাকতেন।
নিহত রুবিনা আক্তার (২২) কেওয়া পশ্চিম খন্ড এলাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের ঝুমন মিয়ার স্ত্রী এবং তাদের চার বছর বয়সী ছেলে জিহাদ।
শুক্রবার শ্রীপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আজমীর হোসেন এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রুবিনা তার টিনশেড বাড়িতে রং করার জন্য মিস্ত্রি খুঁজতে গিয়ে রহমত উল্লাহর সঙ্গে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে রুবিনা বাজারসহ বিভিন্ন কাজ তাকে দিয়ে করান। মনোমালিন্য থাকায় তার স্বামী আলাদা থাকতেন।
রহমত উল্লাহ শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে রুবিনা প্রথমে রাজি না হলেও পরবর্তীতে রাজি হন। তিনি গত ৩ জানুয়ারি রহমত উল্লাহকে ফোন করে তলপেটের ব্যথার ওষুধ আনতে বলেন।
পরে রহমত উল্লাহ ওষুধের সঙ্গে দুটি ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে আসেন। তিনি রাত আটটার দিকে গিয়ে রুবিনাকে অর্ধচেতন অবস্থায় খাটে শুয়ে থাকতে দেখেন।
রাত ১০টার দিকে ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে রহমত উল্লাহ রুবিনার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। রুবিনা তখন বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এ সময় রুবিনার হাত লেগে জিহাদ জেগে ওঠে চিৎকার দেয়।
রহমত উল্লাহ ভয়ে ডান হাত দিয়ে শিশুটির ও বাম হাত দিয়ে রুবিনার গলা চেপে ধরেন। পরে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে রুবিনার দুটি মোবাইল, পা থেকে এক জোড়া নূপুর ও ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
রহমত উল্লাহ গত ২০ জানুয়ারি দালালের মাধ্যমে সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়ে কৃষ্ণপুরের পেপসি কারখানায় চাকরি নেন। পরে তাকে দালালের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।