জুলুম কাহিনি-১ : কাপাসিয়ার কেন্দুয়াবরে ডায়মন্ড গ্রুপের ভয়াবহ ভূমিদস্যুতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কাপাসিয়ার টোক রোডে বীরউজলী বাজার। বাজারের উত্তর দিক দিয়ে পশ্চিমে কেন্দুয়াব গ্রাম। এই গ্রামেই নেমে এসেছে ভয়াবহ ভূমিদস্যুতা।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা হয় আলোকিত নিউজের। ওঠে আসে ভীতসন্ত্রস্ত মানুষগুলোর অসহায়ত্ব।

কোম্পানির নাম ডায়মন্ড এগ ও প্রোটিন হাউজ লিমিটেড। তাদের ভূমিদস্যুতায় চাপা কান্না ও আতঙ্ক বইছে শত পরিবারে।

থানা পুলিশ, ইউএনও, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্থানীয় সাংসদ-কোথাও গিয়ে প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

তাদের অভিযোগ, কোম্পানির মালিক কাওসার আহম্মেদ অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির। তিনি টাকা দিয়ে সবাইকে কিনে ফেলেছেন।

ডায়মন্ডের উত্তর পাশে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ আবদুল বাতেনের বাড়ি। এখানে তার জমি ১৫-১৬ বিঘা।

তিনি অভিযোগ করেন, কোম্পানি তাদের শ্রমিকদের থাকার জন্য প্রথমে কিছু জমি ভাড়া নেয়। এখন বাড়িসহ পুরো জমি বিক্রি করতে চাপ দিচ্ছে। তরল বর্জ্য ফেলে ফসলি জমিও নষ্ট করছে।

আবদুল বাতেন বলেন, কোম্পানির ম্যানেজার আইয়ুব তাকে বলেছেন, জমি না দিলে কোম্পানি জোর করে নিতে পারে। তখন টাকা কম পাবেন।

তিনি বলেন, আমি জমি বিক্রি করব না। বিক্রি করে যাব কোথায়?

আবদুল বাতেনের সাথে কথা বলার পর রাস্তায় ম্যানেজার আইয়ুবের সাথে দেখা হয়।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে সব করছি।

এখানে কোম্পানির জমি কী পরিমাণ-জানতে চাইলে বলেন, প্রায় ২০০ বিঘা হবে। টোক রোডের পাশে আমতলীতে আছে ৩০-৩৫ বিঘা।

এলাকাবাসী জানান, ডায়মন্ড গ্রুপ ২০০৯ সালে প্রথমে কয়েক বিঘা জমি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। পরে এলাকার দু-চারজনের সহযোগিতায় জমি দখল শুরু হয়। তারা প্রথমে জমি বিক্রি করার প্রস্তাব দেয়। বিক্রি না করলে রাতারাতি দখল করা হয়। পরে টাকা চাইলে ঘুরিয়ে কম দেওয়া হয়।

সাবেক ইউপি মেম্বার আইন উদ্দিনের সাথে কথা হয় স্থানীয় মসজিদ মাঠে।

তিনি অভিযোগ করেন, কোম্পানি উত্তর-পূর্ব অংশে তার ২২ শতাংশসহ দুই বিঘা জমি দখল করেছে। তাদেরকে এখন বিঘাপ্রতি আট লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। অথচ এখানে প্রতি বিঘার দাম ২০-২২ লাখ টাকা।