গাজীপুরে ‘৩ বছরের চেয়ারে’ ডিসির নাজিরের ‘৫ বছর’ উদযাপন!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির এস এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
তিন বছরের চেয়ারে তিনি পাঁচ বছর ধরে বহাল রয়েছেন। সম্প্রতি ঘটা করে হয়েছে পূর্তি অনুষ্ঠান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জেলা প্রশাসনের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নাজির পদে দায়িত্ব পান। পদটিতে চলতি বছরের জুলাইয়ে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম নাজির হওয়ার আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর টঙ্গী সার্কেলের অফিস সহকারী ছিলেন। নাজির পদে যোগদানের বছর খানেক পর তিনি উচ্চমান সহকারী পদে পদোন্নতি পান।
এর আগে রফিকুল ইসলাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। তখন তার বিরুদ্ধে তথ্য অফিস কর্তৃক সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের প্রচারণা নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে।
পরে তাকে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি করা হয়। সাবেক জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের আমলে তিনি প্রভাবশালী কর্মচারী হয়ে ওঠেন।
রফিকুল ইসলাম বর্তমানে জেলা কালেক্টরেট সহকারী সমিতিরও সভাপতি। তার গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলামের নাজির পদে পাঁচ বছর পূর্তিতে জেলা প্রশাসন চত্বরে সমিতির কার্যালয়ে গত ৬ জুলাই সন্ধ্যায় কেক কেটে আনন্দ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। কেকের মধ্যেও পাঁচ বছর পূর্তি লেখা ছিল।
প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, নাজির কারও চাকরির আজীবনের পদ নয়। বিধি অনুযায়ী তিন বছর পরও বদলি না করায় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার ক্ষমতার দম্ভ প্রকাশ পেয়েছে।
একাধিক কর্মচারী বলেন, রফিকুল ইসলাম অত্যন্ত চতুর। তিনি বিভিন্ন বরাদ্দের ব্যয় ভাউচার, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ডিলিং লাইসেন্স, হোটেল-রিসোর্টের লাইসেন্স, ইটভাটার লাইসেন্স, শিল্প কারখানার দাহ্য পদার্থের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন এবং অপমৃত্যু সংক্রান্ত বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য করছেন।
এ ব্যাপারে নাজির রফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি ২০১৭ সাল থেকে নাজিরের চলতি দায়িত্বে আছি। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছি।
বিভিন্ন লাইসেন্স ও বরাদ্দ থেকে বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এগুলোর একটাও তার কাজ নয়। যারা অপমৃত্যুর বিল নেন, তারা জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেন।