টঙ্গীতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফ্ল্যাটে আটকিয়ে ধর্ষণ : গ্রেফতার ৪
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীতে সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে দুই দিন ফ্ল্যাটে আটকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা থানায় মামলা করার পর পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল এলাকার আবদুল খালেকের ছেলে মইন উদ্দিন (২০), টঙ্গীর গাজীবাড়ি এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে মাহিন (২০), মাছিমপুর এলাকার মৃত আবদুল হকের ছেলে আলম (৩২) ও সহায়তাকারী মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী হোসনা আক্তার (৩২)।
অপর আসামি মাছিমপুরের জামাল ডাক্তারের বাড়ির ভাড়াটিয়া আবদুল আউয়ালের ছেলে ওমর ফারুক (২২) পলাতক রয়েছেন।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, মইন উদ্দিনের সাথে ওই ছাত্রীর মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় সে প্রেমিকের প্ররোচনায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
রাত দেড়টার দিকে মধুমিতা রোড এলাকায় গাড়ি থেকে নামলে ফারুক ও আলম তাকে একা পেয়ে ফুঁসলিয়ে জামাল ডাক্তারের বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানে আটকিয়ে চলে পাশবিক নির্যাতন।
আসামিদের মধ্যে আলম টঙ্গী এলাকার হকার সমিতির সভাপতি এবং মইন উদ্দিন পূবাইলের মাজুখান এলাকার ইব্রাহিমের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও বেকারির শ্রমিক।
মাহিন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও হোসনা তার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে মাছিমপুরে সাবলেটে ভাড়া থাকেন।
নির্যাতিতার মা জানান, তারা কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে বসবাস করেন। মইন উদ্দিন মেয়েটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য আলম ও ফারুককে পাঁচ হাজার টাকা দিলেও তারা ছাড়েননি।