কাপাসিয়ায় হত্যা মামলার তদন্তে পক্ষপাতিত্ব!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ইদ্রিস আলী (৬২) হত্যা মামলার তদন্তে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার টোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাসেল কবির তদন্তে নিরপেক্ষতা রক্ষা করেননি বলে অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টোক ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামের ইদ্রিস আলী গত বছরের ৩০ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে বীরউজলী বাজারে রওনা হন। পথে আদিয়ারচালা এলাকায় রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে তাকে উদ্ধার করে বীরউজলী বাজারের মনিরুল ইসলামের ফার্মেসিতে নিলে তিনি পরীক্ষা করে ইদ্রিস আলী মারা গেছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে গত জুলাইয়ে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এ হত্যা মামলা করেন। মামলা নং ২৩২/১৭।
বিচারক আরজির অভিযোগ আমলে নিয়ে কাপাসিয়া থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলায় বলা হয়, একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (৩০) ওই রাস্তায় মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। তিনি এলোমেলোভাবে চালালে ইদ্রিস আলী সামান্য থামেন। পরে জোরে লাথি দিলে ইদ্রিস আলী মোটরসাইকেলসহ রাস্তা থেকে ছিটকে তিন ফুট নিচে পড়েন।
ঘটনার পর মোবারক দ্রুত চলে যান। ২০-২৫ বছর আগে ইদ্রিস আলীকে ডাকাতি মামলায় হয়রানি করেছিলেন সুরুজ মিয়া। শত্রুতা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। লাশ দাফনের পর ওই দিনের ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
এদিকে এসআই রাসেল গত নভেম্বরে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তাতে তিনি ১১ জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করে ঘটনাটি দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করেন।
বাদী অভিযোগ করেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের ১৭ সাক্ষীর ১৬ জনের সাথেই কোন কথা বলেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইদ্রিস আলী বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। একজন বয়স্ক মানুষের পক্ষে তা সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ওই ১১ সাক্ষীর বেশির ভাগই আসামিদের লোক। তাদের মধ্যে আছেন নির্বাচনী প্রতিপক্ষ, ব্যবসায়িক অংশীদার, চাচাতো ভাই ও ভাতিজা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আসাদুল্লাহ বাদল আলোকিত নিউজকে বলেন, তদন্ত নিরপেক্ষ হয়নি। আমরা নারাজি আবেদন করব।
এ ব্যাপারে এসআই রাসেল আলোকিত নিউজকে বলেন, ঘটনার পর নিহতের দুই ছেলে ও ভাই ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদন করেন। তাকে মেরে ফেলার কিছু থাকলে আমরা মামলা দিতাম।
বেপরোয়া গতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের গতি মিডিয়াম থাকলে হ্যান্ডেল তো বেঁকে যেত, ভাঙত না। এটা ভিলেজ পলিটিকস।
সাক্ষীদের সাথে কথা না বলার বিষয়ে এসআই বলেন, তাদের প্রায় লোকই সুরতহাল প্রতিবেদনে সাক্ষী হিসেবে আছেন। তারা কোন কিছু বলতে পারেন না।