গাজীপুরের ২২ নং ওয়ার্ডে ছবদেরের ‘ভাঙাচোরা উন্নয়ন’!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ডের রাস্তাঘাটের বেহাল দশা এখন চরমে।
গত পাঁচ বছরে লাখ লাখ টাকা ব্যয় হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন লাখো বাসিন্দা।
সরেজমিনে জানা যায়, ২২ নং ওয়ার্ড মহানগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে রয়েছে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। সিটি করপোরেশন প্রতি বছর পাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব।
এরপরও প্রায় রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তা সংস্কার ও উন্নয়নের নামে বছরের পর বছর কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে ভোগান্তি।
এলাকাবাসী বলছেন, স্থানীয় কাউন্সিলর ছবদের হাসান গত নির্বাচনে উন্নয়নের নানা অঙ্গীকার করলেও তেমন বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি নিজের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন বেশি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ছবদের হাসানের অনিয়ম ও অদক্ষতায় উন্নয়নের গতি এগোয়নি। গৃহীত প্রকল্পগুলোর অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হলেও নাগরিক দুর্ভোগ কমে যেত।
রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার দক্ষিণ দিক দিয়ে মিয়াবাড়ি রোড। রোডটির খলিল মার্কেট এলাকায় কিছু কাজ হলেও ক্যামেলিয়া কারখানা পর্যন্ত অবস্থা করুণ। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দগুলো কাদায় সয়লাব হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় যানজট।
বাংলাবাজার থেকে ভিম বাজার রোড চলাচলের প্রায় অযোগ্য। বড় বড় গর্ত থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাহাদুরপুর এলাকার আলী মোহাম্মদ ঢালী আলোকিত নিউজকে বলেন, রাস্তা ভাঙা দুই বছর ধরে। কোন কাজ হচ্ছে না।
স’মিল মালিক শাহ আলম জানান, আগে যানবাহন চলাচল করত। রাস্তা পাকা করার জন্য ইট উঠিয়ে ফেলায় দুই বছর ধরে অবস্থা খারাপ।
তিনি আরও জানান, ভিম বাজার মোড়ে কিছু কাজ হয়েছে। বাকি অংশে কাজ না হওয়ায় ভ্যান দিয়ে কাঠ আনা-নেওয়া করতে হয়। গত বছর গর্তে ট্রাক উল্টে একজন নিহত হয়েছেন।
এ সময় শাহ আলম, বেসরকারি চাকরিজীবী কফিল উদ্দিন ও মাটি ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদসহ অনেকে কাউন্সিলরের ব্যর্থতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভিম বাজার রোডের হাজী মার্কেট থেকে পূর্ব বাহাদুরপুর স্কুল রোডেও কোন কাজ হয়নি। কাউন্সিলরের দেখা পান না এলাকাবাসী।
ব্যবসায়ী মাজহারুল ইসলাম জানান, কারখানা মালিকদের সহযোগিতায় তারা ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কার করেছেন।
এদিকে এশিয়ান পেইন্টসের বিপরীত পাশের ইপিলিয়ন রোডসহ অন্য রাস্তাগুলোর বেহাল দশা থাকলেও বাংলাবাজার রোড থেকে কাউন্সিলরের বাড়ির রাস্তা বেশ ভাল।
সেখানে তার কার্যালয়। আশপাশের মার্কেটের মালিকও তারা। রয়েছে দুটি প্রাইভেটকার।
দুই দিন অনুসন্ধানের পর ছবদের হাসানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।