গাজীপুরে বনভূমিতে কাউন্সিলরের ৫ তলার কাজ চলছে রাতে!

আসিফ আহমেদ : গাজীপুরে মূল্যবান বনভূমিতে কাউন্সিলরের পাঁচ তলা বাড়ির নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।

নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকায় এ দখলযজ্ঞ চললেও দেখার যেন কেউ নেই।

জাতীয় উদ্যান রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিম ও বাউপাড়া বিট কর্মকর্তা আজাদুল কবির গোপনে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ।

সরেজমিনে জানা যায়, ওই এলাকার সিএস ২৩০ নং দাগের ছয় শতাংশ জমিতে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। জমিটি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত।

স্থানীয় কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন কাজ তত্ত্বাবধান করছেন। একই দাগে তার ভাগিনা মোস্তফার চার তলা বাড়ির তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কাজও সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।

তাদের কারও যৌথ ডিমারকেশন নেই। দাগটি নিয়ে আদালতে মামলা চললেও রায়ের আগেই পোক্ত হচ্ছে দখল।

বিষয়টির ওপর গত ২৭ আগস্ট আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চলে ব্যাপক তোলপাড়।

পরে কাউন্সিলর প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে দাবি করেন, বাড়িটি তার নয়। সহিদ হাজি নামে একজন কাজটি করছেন।

অনুসন্ধান করে জানা যায়, ওই সহিদ হাজি কাউন্সিলরের ভাগিনা। তিনি মোস্তফার মত তাদেরকেও গেজেটভুক্ত বনভূমি ওয়ারিশ হিসেবে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

আলোকিত নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অভিযুক্তরা দিনে কাজ বন্ধ রেখেছেন। রাত হলেই শুরু হয় তোড়জোড়।

গত কয়েক দিন ধরে নিচ তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। গত সোমবার রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের বদলে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।

তবে রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিম আলোকিত নিউজকে বলেন, কাজ বন্ধে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর বাড়াবাড়ি করছেন।

তিনি বলেন, কাজ যেটুকু করেছে, সেটুকু ভেঙে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে চিঠি লিখেছি। থানায় এজাহার হবে।

রাতে কাজ চলা প্রসঙ্গে রেঞ্জ কর্মকর্তা বলেন, আসলে আমাদের অল্প-স্বল্প লোকজন। একটা মার্ডার হলে পরে কী করা যায়।

এর আগে বিট কর্মকর্তা আলোকিত নিউজকে বলেছিলেন, আদালত থেকে ইনজাংশন আনা হয়েছে। বাস্তবে তা অসত্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বন কর্মকর্তারা দায় এড়ানোর জন্য আইনি প্রক্রিয়ার নামে সময়ক্ষেপণ করছেন। বিপরীতে বাড়ির কাজ এগিয়ে চলছে।

আরও পড়ুন : গাজীপুরে ‘বনভূমিতে’ কাউন্সিলর মোশারফের মার্কেট ও বাড়ি!

আরও খবর