কাপাসিয়ার লোহাদীতে জান্নাতের মৃত্যুর জন্য মায়ের পরকীয়াকে দুষছেন এলাকাবাসী

আলোকিত প্রতিবেদক : কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের লোহাদী নরসিংপুরে মাদ্রাসা ছাত্রী জান্নাতের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার স্বজন ও এলাকাবাসী।

পুলিশের নীরব ভূমিকায় জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন ও প্রচন্ড ক্ষোভ।

তারা বলছেন, জান্নাতের বাবা হারুন প্রায় দেড় যুগ ধরে সৌদি আরবে থাকেন। তিনি দুই বছর পরপর দেশে আসেন। এর ফলে তার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন একাধিক লোকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে থানার এক দারোগাও আছেন।

তাদের অভিযোগ, এই পরকীয়ার বলি হয়েছে জান্নাত। অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

গত ২৮ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে জান্নাতের লাশ উদ্ধার করা হয়।

ফাতেমা দাবি করেন, ওই রাতে তিনি তার উকিল মায়ের আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন জান্নাত গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আলোকিত নিউজের প্রশ্নের উত্তরে ফাতেমা এক পর্যায়ে বলেন, আল্লাহর দান আল্লাহ নিয়া গেছে।

জান্নাতের স্বজনরা বলেন, জান্নাত (১৩) স্থানীয় মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। ফুটফুটে শিশুটি বিনা কারণে আত্মহত্যা করবে কেন?

জান্নাতের দাদি গোলাপী বলেন, ঘটনার দিন তিনি টোকে মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। খবর পেয়ে রাত দুইটা-আড়াইটার দিকে ছুটে আসেন। নাতনিকে দেখতে চাইলে ফাতেমা বাধা দেন। পরে অন্যদের সহযোগিতায় তিনি লাশ দেখেন।

তিনি বলেন, জান্নাতের মুখে লিপস্টিক ছিল। সবাই তার গলা, হাত ও পিঠে আঘাতের দাগ দেখেছেন।

এ ব্যাপারে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক আলোকিত নিউজকে বলেন, মায়ের পরকীয়া আছে কি না জানি না। মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বোঝা যাবে।