রেলের আধুনিকায়নে কাজ করছে সরকার
আলোকিত ডেস্ক : বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
রেলের উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে ২০ বছর মেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান ও চার ধাপে চলছে এর বাস্তবায়ন।
এ মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা হয়েছে ২৭০টি যাত্রীবাহী কোচ।
২০২২ সালের মধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রেলওয়ের বিভিন্ন সেকশনে নতুন নতুন ট্রেন চালু করার একটি বড় বাধা হল ডাবল লাইন না থাকা।
এ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সেকশনগুলোকে ডাবল লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
২০০৯ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ ও প্রায় ২১৪ কিলোমিটার মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের লক্ষ্যে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
২০১১ সালের পর ৪৭টি ইঞ্জিন কেনা হয়েছে। এতে রেলের ইঞ্জিন ফেইলিওর কমেছে অন্তত ৫৫ শতাংশ।
রেলের হিসাব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আয় আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা বেড়েছে।
আরও ১৪০টি ইঞ্জিন ও ২৫০টি কোচ কেনার প্রক্রিয়া চলছে। এগুলো যুক্ত হলে সেবার মান আরও বাড়বে।