গাজীপুরে বন কেটে গ্রিনটেকের ড্রেন ও কোয়ার্টার!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে সংরক্ষিত গজারি বনের গাছ কেটে ড্রেন ও কোয়ার্টার নির্মাণ করেছে গ্রিনটেক রিসোর্ট।
আলোচিত বিনোদন স্পটটি ভাওয়াল রেঞ্জের বারইপাড়া বিটের পিঙ্গাইল এলাকায় অবস্থিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, গ্রিনটেক রিসোর্ট এন্ড কনভেনশন সেন্টারের চারপাশে বনভূমি। রিসোর্টে প্রবেশের দুটি পাকা রাস্তাও বনের ওপর দিয়ে করা হয়েছে।
পূর্ব পাশে সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে ক্রমান্বয়ে গাছ কেটে বন উজাড় করা হচ্ছে। বনের ভেতরে ফেলা বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
আর করোনা মহামারির সুযোগে গাছ কেটে বনের ভেতর দিয়ে আনুমানিক ৭০০ ফুট ড্রেন খনন করা হয়েছে। যা দিয়ে নির্গত হচ্ছে রিসোর্টের ভেতরের পানি।
এ ছাড়া পশ্চিম পাশে মূল গেট সংলগ্ন স্থানে তিন শতাংশ বনভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে কর্মচারীদের কোয়ার্টার। দেখতে টিনশেড হলেও ভেতরে ইটের দেয়াল।
ওই সময় বারইপাড়া বিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ আলোকিত নিউজকে বলেন, গ্রিনটেক রিসোর্টকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোয়ার্টার ভেঙে দেওয়া হবে।
আর গত মাসে চট্টগ্রামে বদলি হওয়া ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলামও শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে সময়ক্ষেপণ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হোসেন আহমেদ ও আরিফুল ইসলামকে ম্যানেজ করেই বনের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। তাই তারা কোন ব্যবস্থা নেননি।
একজন বন কর্মকর্তা বলেন, প্রতিষ্ঠানটি জবর দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে।
এদিকে রিসোর্টটির দখল কর্মকাণ্ডের ওপর গত ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে সাবেক এসিএফ কাজী নূরুল করিমের নেতৃত্বে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে বর্জ্য অপসারণ ও বেশ কিছু অংশ দখলমুক্ত করে।
তখনকার রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল হাসেম আলোকিত নিউজকে বলেছিলেন, বন উজাড়ের বিষয়ে মামলা করা হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহস্যজনক কারণে মামলা না করে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : গাজীপুরে গাছ কেটে গ্রিনটেকের বন উজাড়!