গাজীপুরে গুচ্ছগ্রামের জমি কিনে ফাউন্ডেশনের দুই বাড়ি!

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের মূল্যবান খাস জমি বেচাকেনা হচ্ছে।

তাতে শর্ত ভঙ্গ করে গড়ে উঠছে ভবন। প্রশাসনের তদারকির অভাবে বেহাত হচ্ছে সরকারি সম্পদ।

সরেজমিনে জানা যায়, জেলা সদরের ভবানীপুরের লুটিয়ারচালা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প তৎকালীন এরশাদ সরকারের আমলে বাস্তবায়িত হয়। পুনর্বাসন করা হয় ভূমিহীনদের।

তাদের মধ্যে কয়েকজন লিখিত স্ট্যাম্পে জমি বিক্রি করছেন। অথচ আইনত বন্দোবস্তকৃত জমি বিক্রি বা হস্তান্তর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একই সাথে ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি করারও কোন সুযোগ নেই।

শামসুজ্জামান ভূঁইয়া খোকা ও তার স্ত্রী রওশন আরা ২৫ শতাংশ করে জমি বন্দোবস্ত পান। পরে তারা জমি ঢাকার খলিলুর রহমান ও লিপি আক্তার দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন।

২০০৮ সালে খলিলুর রহমান দম্পতির কাছ থেকে চার শতাংশ জমি কিনেন এলাকার গিয়াস উদ্দিন। মূল্য দেন প্রায় দুই লাখ টাকা।

এরপর তিনি তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এরই মধ্যে নিচ তলার ছাদ ঢালাই সম্পন্ন হয়েছে।

খবর পেয়ে গিয়াস উদ্দিনকে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সাবেক ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আবদুল হামিদ নোটিশ দেন। তার সাথে কথা বলার পর আর বাধা দেওয়া হয়নি।

এদিকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়ির পশ্চিম পাশের প্লটটির মালিক মোস্তফা। তার কাছ থেকে সোয়া তিন শতাংশ জমি কিনেছেন মাস্টারবাড়ি এলাকার আবুল হোসেন।

তিনি প্রথমে তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে পিলার করলেও কাজ বন্ধ রাখেন। পরে গিয়াস উদ্দিনের কাজ দেখে আবার শুরু করেন। এখন নিচ তলার ছাদ ঢালাই চলছে।

এ ব্যাপারে আবুল হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

জানতে চাইলে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা লুৎফর রহমান আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি ঘটনাটি জেনে প্রতিবেদন দিয়েছি। এসিল্যান্ড অফিস তাদেরকে নোটিশ দিয়েছে।

আরও খবর