কাপাসিয়া কলেজে লুটপাট : প্রমাণিত হওয়ার পরও মোল্লাকে বহালের পাঁয়তারা

আলোকিত প্রতিবেদক : কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ ও পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ড. আনোয়ার হোসেন ও প্রভাষক হাফিজুর রহমানের তদন্ত প্রতিবেদনে তা ওঠে আসে।

গত বছরের শেষের দিকে দৈনিক অন্যদিগন্তে অভিযুক্তদের লুটপাটের ওপর দুটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ নিয়ে চলে ব্যাপক তোলপাড়।

পরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদের নির্দেশে ওই তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

প্রতিবেদনে যা বলা হয় :

১. মোতাহার হোসেন মোল্লা ২০০৭ সালে ৭৩৯০ নং দলিলে কলেজের এসএ ৪৫৫ ও ৪৫৬ নং দাগের ১৫ শতাংশ জমি বিক্রি করেছেন। তিনি জমি বিক্রির কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটিকে বলেন, ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকলে কলেজের পাশে আমার অনেক জমি আছে। আমি ঠিক করে দিব।

২. অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ অনিয়মিত ছাত্রের বাবা জুনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিন মাস্টারকে অবৈধভাবে পর্ষদের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন।

৩. অধ্যক্ষ কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক কোহিনূর সুলতানাকে অবৈধভাবে পর্ষদের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করেছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী, সহকারী গ্রন্থাগারিক শিক্ষক হিসেবে গণ্য নন।

৪. অধ্যক্ষ ও সভাপতি খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে কলেজের পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছাত্রাবাস ভেঙে ফেলেছেন। ওই জায়গায় কলেজের এক কর্মচারী কলাবাগান করেছেন।

৫. কলেজ ঠিকভাবে চলছে না। কলেজের শিক্ষকরা সময়মত সব ক্লাস নেন না। যার ফলে ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬৯৪ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ২০৬ জন পাস করে।

ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, এসব অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ার পরও কর্তৃপক্ষ এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো মোতাহার হোসেন মোল্লাকে সভাপতি পদে বহাল করতে পাঁয়তারা চলছে।

এতে সহকারী কলেজ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও উপাচার্যের সচিব আবদুল মালেক সরকার সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।