‘হতভাগা আয়শা মৃত্যুর আগের দিনও স্কুলে গিয়েছিল’

শাহাদাত হোসেন সাদেক, শ্রীপুর : আয়শা মারা যাওয়ার পর মনের কষ্টে তার বাড়ির দিকে যায় না সহপাঠীরা। বারবার আয়শার কথা মনে পড়ে মন খারাপ হয় তাদের। মৃত্যুর আগের দিন শুক্রবারও স্কুলে গিয়েছিল সে।

গত ২৯ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশন এলাকায় মেয়ে আয়শাকে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন হযরত আলী।

কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামের আয়শা হেরা পটকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।

সহপাঠী নাসিম জানায়, আয়শা নিয়মিত স্কুলে যেত। সামনে জায়গা থাকার পরও সব সময় পেছনের সারিতে বসত। শ্রেণিকক্ষে বেশির ভাগ সময় চুপচাপ থাকত।

সহপাঠী সানজিদা জানায়, আয়শা দুষ্টুমি করত না। কেউ দুষ্টুমি করে ধাক্কা দিলেও কিছু বলত না। তারা এক পথে বাড়ি ফিরত।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, আয়শার এ বছর দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার কথা ছিল। বার্ষিক পরীক্ষায় পাস না করায় প্রথম শ্রেণিতে রাখা হয়। বৃস্পতিবারও সে প্রথম সাময়িকের ইংরেজি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।

আরও খবর