গাজীপুরে বন বিনষ্টকারী বনিটো বাটনের দূষণ চলছেই
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বন বিনষ্টকারী বনিটো বাটন কারখানার দূষণ অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টির ওপর গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
কিন্তু ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিকেবাড়ি বিট কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা অদ্যাবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
এমনকি বন বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়াই পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও তারা রহস্যজনক নীরবতা পালন করছেন।
অথচ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী, সরকার ঘোষিত কোর জোনে শিল্প কারখানা স্থাপন বা পরিচালনা নিষিদ্ধ।
উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলের ক্ষতিসাধন করলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মামলায় আসামি করার বিধান রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ডগরী রোডের উত্তর পাশে গজারি বনের ভেতরে বনিটো বাটন অবস্থিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রবিহীন কারখানাটি তিন দিক থেকেই বনের ক্ষতি করছে।
কারখানার মালবাহী গাড়ি চলাচলের রাস্তা করা হয়েছে বনভূমি দখল করে। আগের বিট কর্মকর্তা দুটি খুঁটি পুঁতলেও এখন চিহ্নও নেই।
কারখানাটির পূর্ব পাশে মরে গেছে বেশ কিছু গাছ। গাছ কেটে দখল করা আধা বিঘা বনভূমি উদ্ধার হলেও কোন মামলা হয়নি।
পশ্চিম পাশে কারখানার সাদা পাউডার ও ভুসি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে বনে। দূষণ ঘটছে মাটি ও পরিবেশ-প্রতিবেশের।
এ ছাড়া অবাধে কাটা হচ্ছে গাছ। উজাড় হওয়া প্রায় এক বিঘা বনভূমিতে চোখে পড়েছে অর্ধশত গাছের মোথা।
এরই মধ্যে উজাড়কৃত অংশে ছোট ছোট চারা রোপণ করেছে বিট অফিস। পাশেই মৃত দাঁড়িয়ে আছে বেশ কিছু গাছ।
সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, পাউডার ও ভুসির প্রভাবে চারাগুলো মরতে শুরু করেছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দৈহিক বৃদ্ধি।
এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি যোগদানের পর একটা গাছও কাটা হয়নি। এখন পাউডার ও ভুসি বনে পড়ে না।
রাস্তার বিষয়ে তিনি বলেন, অমনী এগ্রো মন্ত্রণালয় থেকে রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি নিয়েছে। ওই অনুমতিতে বনিটো বাটনও ব্যবহার করছে।
সংরক্ষিত বন দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে মন্ত্রণালয় ২০১৭ সালে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এরপরও চলছে কীভাবে?
প্রশ্নটির উত্তরে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাপজোখ করে অমনী এগ্রোর ভেতরে ৬৫ শতাংশ বনভূমি পাওয়া গেছে। বিস্তারিত লিখে ওপরে প্রতিবেদন দিয়েছি।
প্রতিবেদনের অগ্রগতি আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অগ্রগতি হয়েছে। রাস্তার অনুমতি বাতিল হবে।