গাজীপুরে বন গবেষণার বাগান ঘেঁষে আবাসন প্রকল্প, গাছ কেটে রাস্তা!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বনের গাছ কেটে রাস্তা তৈরি ও ডিমারকেশন ছাড়াই আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পূর্ব বাউপাড়া প্রকল্প এলাকায় গত মাস থেকে এসব কর্মকাণ্ড চললেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর মাস্টারবাড়ি থেকে মির্জাপুর রোড দিয়ে কিছুদূর এগোলে পূর্ব বাউপাড়া জান্নাতুল বাকী কবরস্থান। এর পশ্চিম পাশে গড়ে তোলা হচ্ছে আবাসিক প্রকল্প।
সেখানে সংরক্ষিত বাগানের গাছ কেটে প্রায় ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও আট ফুট প্রস্থের রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। নতুন-পুরনো সাতটি গাছের মোথা দেখা গেছে।
রাস্তার দুই পাশে বন গবেষণার বীজ বাগান। মাটি, ইট এবং বালুবাহী ট্রাক ও লরি চলাচল করায় বাগানের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মাটি ফেলে জমি ভরাট করে চলছে বাড়িঘরের নির্মাণ কাজ। বন বিভাগের সাথে যৌথ ডিমারকেশনের কোন খুঁটি পাওয়া যায়নি।
প্রকল্প ঘেঁষে তিন পাশেই ইউক্যালিপটাস বাগান। পূর্ব পাশ দিয়ে হাঁটাচলার পথ থাকলেও অধিক সুবিধার জন্য বনের ক্ষতিসাধন করে বিকল্প রাস্তা করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রকল্পে বর্তমানে আড়াই বিঘা জমি রয়েছে। এর মধ্যে পৌনে দুই বিঘার মালিক নান্দুয়াইন এলাকার আজিজুল হক। বাকি পৌনে এক বিঘা প্রতিবেশী রাশিদুল হাসানের।
আজিজুল বনের দালাল হিসেবে পরিচিত। তিনি রাশিদুলের কাছ থেকে ওই জমি কিনেছেন। আরও জমি কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
তারা আরও জানান, আজিজুল ও রাশিদুল জমি প্লট আকারে বিক্রি করছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন জমি কিনেছেন। আবুল কাশেমের বাড়ির কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে বনের ভেতর দিয়ে প্রকল্পে বিদ্যুতের লাইন টানার কাজও চলছে। ঘটনাস্থল থেকে ফেরার সময় দুটি খুঁটি নিতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে আজিজুল হকের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের গাজীপুর কেন্দ্রের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল বাশার আলোকিত নিউজকে বলেন, তারা খবর পেয়ে রাস্তায় খুঁটি পুঁতে দিয়েছেন। কোন গাছ কাটা হয়নি।