কাপাসিয়ায় গরু-মহিষ চুরির হিড়িক, আতঙ্ক চরমে
আলোকিত প্রতিবেদক : বাদল মিয়া একজন কৃষক। দুটি মহিষ ছিল তার পেশার অন্যতম অবলম্বন।
গত ৬ এপ্রিল রাতে মহিষ দুটি চুরি হয়ে যায়। ঘটনাটি গাজীপুরের কাপাসিয়ার রায়েদ ইউনিয়নের হাইলজোর পশ্চিমপাড়া এলাকার।
মহিষ দুটির বাজারমূল্য আনুমানিক তিন লাখ টাকা। কৃষক বাদল এখন দিশেহারা।
একই রাতে দুর্গাপুর ইউনিয়নের নাশেরা গ্রামের এরশাদ সরকারের দুটি গাভি ও একটি ষাঁড় চুরি হয়। গরু তিনটির বাজারমূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
এরশাদ দুধ বিক্রি করে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করতেন। গরুগুলো হারিয়ে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।
সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির বাড়ি দরদরিয়া গ্রামে। গত ৪ এপ্রিল রাতে সেখানকার কফিল উদ্দিন ও তার চাচাদের আটটি গরু চুরি হয়।
এভাবে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গরু চুরি অব্যাহত রয়েছে। বেপরোয়া চোর দমনে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশের তৎপরতা কম।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে চাঁদপুর ইউনিয়নের কোটবাজালিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের দুটি, ভাকোয়াদীর আবুল হোসেনের তিনটি ও মাসুমের তিনটি গরু চুরি হয়। এ সময় নজরুলের ছেলে রানা পিছু নিলে চোরেরা তাকে মারধর করে চলে যায়।
এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে কোটবাজালিয়ার লোকমান ডাক্তারের দুটি গরু, বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাসিবের দুটি গরু এবং তিলশুনিয়ার লোকমান হোসেনের দুটি মহিষ ও তিনটি গরু চুরি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী বলছেন, গোয়ালঘরে তালা দিয়েও চুরি আটকানো যাচ্ছে না। অনেকে আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
করোনা মহামারিতে সাধারণ মানুষ এমনিতেই আর্থিক সংকটে রয়েছেন। তার মধ্যে চুরি বেড়ে যাওয়া যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা।
তারা আরও বলেন, চোরের দল গরু-মহিষ চুরি করে ট্রাক ও পিকআপে করে পাচার করছে। রাস্তায় পুলিশি টহল জোরদার থাকলে দৌরাত্ম্য বন্ধ হত।
চুরি প্রতিরোধে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের তৎপরতাও তেমন নেই। এ অবস্থায় প্রতিকার না পাওয়ার আশঙ্কায় বেশির ভাগ ব্যক্তি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন না।
জানতে চাইলে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলম চাঁদ আলোকিত নিউজের কাছে দাবি করেন, তাদের জোর তৎপরতা অব্যাহত আছে। গরু উদ্ধার ও চোর ধরা হয়েছে।