শ্রীপুরে মুচিকে উঠিয়ে দিয়ে ৮ হাজার টাকা ধান্ধা!
শাহাদাত হোসেন সাদেক, শ্রীপুর : সিরা লাল রবি দাস। বয়স ৫৫ বছর। পেশায় মুচি।
অভাব-অনটনে প্রায় ১৬ বছর ধরে ফুটপাতে বসে জুতা সেলাই ও পালিশের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সাতখামাইর বাজারের বরমী রোডের পাশে পুরনো কড়ই গাছের গোড়া তার কর্মস্থল।
সিরা লাল দৈনিক সাড়ে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা রোজগার করেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তা বন্ধ রয়েছে।
তাকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে আট হাজার টাকা জামানত নিয়ে পান-সুপারি ব্যবসায়ী রবিউলকে বসানো হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন বাজারের ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হক ও সাবেক ইউপি মেম্বার ফজলুল হক।
সিরা লাল বলেন, তার সাত কন্যা সন্তান। দুজন স্বামীর বাড়িতে থাকেন। পাঁচ কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে তিনি এখন কষ্টে দিন পার করছেন।
তার স্ত্রী আরতি রানী বলেন, আমরা ভিক্ষা চাই না। কারও জায়গা দখলও করিনি। কিন্তু ওরা কাজ করতে দিচ্ছে না।
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কাঞ্চন বলেন, আমরা উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়েছি।
সাতখামাইর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিয়াকত হোসেন দুলাল বলেন, সিরা লাল দরিদ্র ও অসুস্থ মানুষ। এক মেয়ে লেখাপড়া করছে। এতগুলো মেয়ে থাকার পরও সমাজে বদনাম নেই।
জানতে চাইলে সাবেক ইউপি মেম্বার ফজলুল হক বলেন, ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। মোজাম্মেল কাজটি খারাপ করেছেন।
পরে মোজাম্মেল হকের সাথে মোবাইলে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে সাড়া দেননি।