গাজীপুরে কর্মচারী সমিতির অবৈধ কমিটির অনুষ্ঠান বর্জনের আহ্বান
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে গঠনতন্ত্র না মেনে ও কেন্দ্রীয় কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারী সমিতির কমিটি গঠন ও অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে।
নগরীর ঊনিশে শিশু পার্কের হলরুমে সোমবার সন্ধ্যায় আহ্বায়ক কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংগঠনের জেলা শাখার আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোমেন উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে গত আগস্টে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু কিছুসংখ্যক কর্মচারী জজশিপের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী মাহবুবুল আলমকে আহ্বায়ক করে পাল্টা কমিটি গঠন করেন। অথচ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের এক দিন পর তার সমিতির সদস্য পদ বাতিল হবে।
মোমেন উদ্দিন বলেন, গঠনতন্ত্র বিরোধী আহ্বায়ক কমিটি গত মাসে সমিতির জেলা কমিটি গঠন করেছে। যাতে শেখ মো. আসাদুজ্জামানকে সভাপতি ও শফিকুল ইসলাম খানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। ওই কমিটি জেলা প্রশাসন চত্বরে অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসককে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক এ ধরনের অনুষ্ঠানে আসন গ্রহণ করলে তার সুনাম নষ্ট হবে বলে কর্মচারীরা মনে করছেন।
তিনি বলেন, অবৈধ আহ্বায়ক কমিটির কাউন্সিল অধিবেশন ডাকার নোটিশ পেয়ে আমরা গত ৩ অক্টোবর সহকারী জজ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করি। মামলা নম্বর ৩৬৭/২২। তারা আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়েই কমিটি গঠন করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
মোমেন উদ্দিন বলেন, অবৈধ কমিটিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খন্দকার শহিদুল হক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদদ দিচ্ছেন। ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কেন্দ্রীয় কমিটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও তারা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমি ২৩ বছর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। সমিতির কোন পদে নির্বাচন করব না-এমন প্রতিশ্রুতি পেয়েই আমাকে আহ্বায়ক করা হয়। আমরা একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ কমিটি করতে চেয়েছিলাম।