গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কে ‘করোনার সুযোগে’ লুটপাট (ভিডিও)
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকায় ন্যাশনাল পার্ক সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির পাশে একটি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে।
অবৈধভাবে নির্মিত দোকানটি বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে থাকা সড়ক ও জনপথের জমিতে পড়েছে।
শুধু দোকান নয়, চালাসহ দোকানের টিন ও কাঠ ন্যাশনাল পার্ক থেকে চোরাইভাবে আনা হয়েছে বলে অভিযোগ।
সংরক্ষিত এই পার্ক থেকে করোনা পরিস্থিতির সুযোগে মূল্যবান সরকারি সম্পদ লুটপাটের কয়েকটি চিত্র প্রত্যক্ষ করেছে আলোকিত নিউজ।
ন্যাশনাল পার্কের ৬ নম্বর গেটের ভেতরে মাইছা পুকুরের পাশে একটি পরিত্যক্ত স্টাফ কোয়ার্টার ও এর দক্ষিণ পাশে বকুল কটেজ। মহামারি শুরুর পর স্থাপনা দুটি থেকে পুরনো টিন ও কাঠ খুলে বিক্রি করা হয়।
এ ছাড়া সেখানকার পাম্প হাউজ থেকে একটি বড় ও দামি ডিপ মেশিন উধাও হয়ে গেছে। যা বিশেষ করে পার্কের পুকুরে পানি দেওয়ার কাজে ব্যবহার হত।
পার্ক থেকে গোপনে গাছও কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। পাম্প হাউজের পশ্চিম পাশে নম্বরবিহীন একটি গজারি গাছ কেটে ফেলা অবস্থায় দেখা গেছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটির বাইরে ছিল বন বিভাগ। পার্কের ভেতরে বন্য প্রাণী রক্ষায় গঠন করা হয় একাধিক স্পেশাল টহল টিম।
প্রশ্ন উঠেছে, এত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেও কীভাবে এসব ঘটল? পরিকল্পিত পাচার নাকি চুরি?
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পার্ক বিট ও রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয় এক সাথে। তাদের অনুমতি ছাড়া পার্কের ভেতর থেকে গাছের একটি ডালাও কাটা যায় না।
এর আগে ভারপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা মাহমুদার রহমানের নেতৃত্বে গাছ পাচার হয়। বিষয়টির ওপর গত বছরের ১৮ জুন আলোকিত নিউজ ডটকমে তথ্যবহুল প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ তদন্তের নামে ধামাচাপা দেয়।
ওয়াকিবহাল সূত্র জানায়, পার্কের দেয়াল সংলগ্ন স্থানে দোকান নির্মাণের অনুমতি নেই। খোকন আর্থিক লেনদেন করে সার্বিক সুবিধা পেয়েছেন।
অপরদিকে পার্কের পুকুর থেকেও অবৈধভাবে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। ইজারাদারের লোকজনকে স্যালো মেশিন দিয়ে বকুল কটেজের উত্তর পাশের পুকুরের পানি কমিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি টিন ও কাঠ প্রসঙ্গে বলেন, আপনি ভাল তথ্য দিয়েছেন। আমি এখনই বিট অফিসারকে জানাচ্ছি।
এরপর অন্য প্রসঙ্গগুলো নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি খুব ব্যস্ততা দেখান। এক পর্যায়ে সংযোগ কেটে দেন।
ভিডিও :
আরও পড়ুন : গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্ক থেকে ‘গাছ পাচার’!