জনগণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়, বিএনপির ১০ দফা দাবি

আলোকিত প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামী ১৩ ডিসেম্বর দেশের সব মহানগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে।

শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, এই সমাবেশ এই বার্তা দিচ্ছে, দেশের জনগণ আর প্রতারিত হতে রাজি নয়। তারা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। যেখানে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে।

পরে খন্দকার মোশাররফ হোসেন সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন।

১. বর্তমান জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করে ক্ষমতাসীন সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ১৯৯৬ সালে সংবিধানে সংযোজিত ধারার আলোকে একটি দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।

৩. বর্তমান অবৈধ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা।

৪. খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, সাংবাদিক এবং আলেমদের সাজা বাতিল, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও রাজনৈতিক কারাবন্দিদের অনতিবিলম্বে মুক্তি এবং সভা-সমাবেশ ও মত প্রকাশে কোন বাধা সৃষ্টি না করা।

৫. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সন্ত্রাস দমন আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালাকানুন বাতিল করা।

৬. বিদ্যুৎ, জ্বালানি, গ্যাস, সার ও পানিসহ জনসেবা খাতের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সরকারি সিদ্ধান্ত বাতিল।

৭. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারকে সিন্ডিকেট মুক্ত করা।

৮. গত ১৫ বছর ধরে বিদেশে অর্থ পাচার, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাত, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত এবং শেয়ারবাজারসহ সব ক্ষেত্রে সংঘটিত দুর্নীতি চিহ্নিত করতে একটি কমিশন গঠন ও অতি দ্রুত যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।

৯. গত ১৫ বছরে গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর ও সম্পত্তি দখলে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা।

১০. আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে সরকারি হস্তক্ষেপ পরিহার করে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া।

আরও খবর