গাজীপুরে সমাজসেবার আশ্রয় কেন্দ্রে ঠিকাদার নিয়োগে কারসাজি

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে ঠিকাদার নিয়োগে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাজসেবা কার্যালয় পরিচালিত বিভিন্ন কেন্দ্রে খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের লক্ষ্যে গত বছরের আগস্টে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

নগরীর পূবাইল আশ্রয় কেন্দ্রে ‘ক’ গ্রুপের খাদ্য সামগ্রী ও ‘ঙ’ গ্রুপের লেপ-তোষকসহ অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের কাজ পায় মেসার্স তকদির এন্টারপ্রাইজ। সর্বনিম্ন রেট দিয়েও বঞ্চিত হয় মেসার্স মিতু-লিন্ডা-অনন্যা এন্টারপ্রাইজ।

বিষয়টি নিয়ে মিতু-অনন্যা এন্টারপ্রাইজের মালিক দীপা চৌধুরী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্যসচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

দীপা চৌধুরী আলোকিত নিউজকে বলেন, দরপত্রের শর্ত ছিল যে অনুরূপ কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু তকদির এন্টারপ্রাইজ নতুন হওয়ায় কীভাবে অভিজ্ঞতা দেখাল, তা বোধগম্য নয়।

তিনি বলেন, তকদির এন্টারপ্রাইজের ঠিকানা টঙ্গীর আউচপাড়া। এর মালিক হিসেবে মামুন মিয়াকে দেখানো হলেও মূলত পরিচালনা করেন ঠিকাদার নজরুল ইসলাম গোলাপ।

দীপা চৌধুরী আরও বলেন, গোলাপ তার ভাতিজা মামুনসহ চারজনের নামে চারটি লাইসেন্স করে বিভিন্ন কেন্দ্রের বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিচ্ছেন। সমাজসেবার ডিডি তাকে কৌশলে সহযোগিতা করছেন।

জানতে চাইলে গোলাপ আলোকিত নিউজকে বলেন, তার প্রতিষ্ঠান দুটি, মেসার্স রাজিয়া এন্টারপ্রাইজ ও নাইমা এন্টারপ্রাইজ। মামুন মিয়া তার ভাতিজা নন, পরিচিত। উভয়ের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে, থাকেন আউচপাড়ায়।

এ ব্যাপারে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এস এম আনোয়ারুল করিম আলোকিত নিউজকে বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি। অভিজ্ঞতার সনদ না থাকলে তিনি তকদির এন্টারপ্রাইজকে কাজ দিতেন না।

তবে ঠিকাদার গোলাপ আলোকিত নিউজকে বলেছেন, তকদির এন্টারপ্রাইজের ‘ক’ গ্রুপের কাজের অভিজ্ঞতা নেই। টঙ্গীর শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রে ‘খ’ গ্রুপের অর্থাৎ তেল-সাবান ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

আরও খবর