শ্রীপুরে যমুনা এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতির দাবিতে লাল ব্যানার কর্মসূচি

শাহাদাত হোসেন সাদেক, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুর রেলস্টেশনে গত ১০ মাস ধরে লাল ব্যানার দেখিয়ে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি করা হচ্ছে।

সরকারিভাবে যাত্রাবিরতির দাবিতে শ্রীপুরবাসী গত বছরের ১৮ এপ্রিল থেকে এ কর্মসূচি পালন করছেন।

এর সমর্থনে রেলস্টেশনসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টানানো হয়েছে বহু ব্যানার।

স্থানীয় সাংসদ অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীও গত ৪ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে রেলমন্ত্রীর কাছে উত্তর জানতে চান।

জবাবে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে সংসদকে জানান রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

শ্রীপুর বাজারের ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ জানান, শ্রীপুরবাসী ট্রেন থামিয়ে জয়দেবপুর, বিমানবন্দর ও কমলাপুর যাতায়াত করেন। শ্রীপুর থেকে টিকিটের ব্যবস্থা না থাকায় ঢাকার যাত্রীরা টিকিট সংগ্রহ করেন জয়দেবপুর থেকে। কিন্তু জয়দেবপুর রেলস্টেশনে জরিমানাসহ যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

নিয়মিত যাতায়াতকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, শ্রীপুরের যাত্রীরা টিকিট করতে আগ্রহী। অন্য ট্রেনের টিকিটে যমুনা এক্সপ্রেসের সিল দিয়ে বিক্রির ব্যবস্থা করা উচিত। এতে যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

শ্রীপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহজাহান মিয়া জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৪০০ যাত্রী যমুনা এক্সপ্রেসে যাতায়াত করেন। তারা অন্য ট্রেনের টিকিটে সিল দিয়ে বিক্রির দাবি করলেও ওপরের নির্দেশ না থাকায় সম্ভব হচ্ছে না।

জয়দেবপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শহীদুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনের কারণে জয়দেবপুর স্টেশনে যমুনা এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু টিকিটবিহীন কাউকে পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী জরিমানা আদায় করা হয়।

আরও খবর