কাপাসিয়া কলেজের অধ্যক্ষ ছানাউল্লাহর নিয়োগে কারচুপি!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ছানাউল্লাহ দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে দাপট দেখাচ্ছেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্তে নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও অদ্যাবধি তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি।
হাইকোর্টে রিট করে পরপর তিনবার বরখাস্ত না করার স্থগিতাদেশ এনে বাণিজ্যের চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।
এবার তার বিরুদ্ধে অযোগ্য প্রার্থী দিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সাজিয়ে অধ্যক্ষ পদ বাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার জেলা প্রশাসক ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সামছুল বারীকে ২০১২ সালে বরখাস্ত করার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হন ছানাউল্লাহ। পরে অধ্যক্ষ হিসেবে ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি দায়িত্ব পান তিনি। এর আগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৌশলে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়।
তার সাথে প্রার্থী হন বঙ্গতাজ কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ আওলাদ হোসেন খান, তারাগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক কংকন চন্দ্র সাহা ও ইফতেখারুল আলম কমেড।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, অধ্যক্ষ পদে প্রার্থীকে ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজ থেকে ন্যূনতম ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এর মধ্যে বঙ্গতাজ কলেজ ও তারাগঞ্জ কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ের নয়। আর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ কলেজ ডিগ্রি পর্যায়ের হলেও কংকন চন্দ্র সাহা ডিগ্রির শিক্ষক নন। ইফতেখারুল আলম কমেডের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তাদের মধ্যে অবশ্য হাফিজুর রহমান কলেজ কার্যালয়ে নেওয়া ইন্টারভিউয়ে অংশ নেননি। সেখানে প্রার্থীদের শুধু ভাইভা হয়। লিখিত পরীক্ষা হয়নি।
একাধিক শিক্ষক বলেন, অধ্যক্ষ ছানাউল্লাহ প্রক্রিয়াটি সাজিয়ে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে। নয়তো অযোগ্য প্রার্থীরা যাচাই-বাছাইয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য যোগ্য বিবেচিত হন কীভাবে?
এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ ছানাউল্লাহর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে প্রার্থীদের ডিগ্রি পর্যায়ের যোগ্যতার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।
তিনি আলোকিত নিউজকে বলেন, চাকরির অভিজ্ঞতা ১২ বছর হলেই আবেদন করা যায়। এখন নতুন বিধি হতে পারে।