গাজীপুরে সাংবাদিকের গাড়ি আটকে ডিবির লুকোচুরি : থানায় সাজানো মামলা
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে সাংবাদিকের গাড়ি আটকে রেখেছে ডিবি পুলিশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ডিবির পরিদর্শক আলম চাদের নির্দেশে এএসআই আমান ও আলাল মাইক্রোবাসটি আটক করেন।
আলম চাদ বর্তমানে জেলার কালীগঞ্জ থানার ওসি হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার মিলছে না।
মোকশেদা ইসলাম লিমা অভিযোগ করেন, শহরের সুরমা হোটেলের মালিক আবদুস সোবহান ও ঢাকার মঞ্জুর আহমেদ পায়েল ২০১১ সালে তার ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয়ের জন্য রেজিস্ট্রি বায়না করেন। তারা ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে ছয় মাসের সময় নেন। ছয় মাস পর তারা তালবাহানা করে ঘোরাতে থাকেন। এ নিয়ে দুবার লিগ্যাল নোটিশ করা হয়।
পরে নোটিশের জবাব না দিয়ে সোবহান উল্টো টাকা ফেরত চান। সংকট থাকায় লিমা টাকা ফেরত দিতে অক্ষমতা জানান। তিনি জমি রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অনুরোধ করেন।
এর দীর্ঘদিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সোবহান ওই আলম চাদের কাছে অভিযোগ করেন। তিনি কোন তদন্ত না করেই ফোর্স পাঠিয়ে মাইক্রোস্ট্যান্ড থেকে গাড়িটি আটক করে নিয়ে আসেন।
লিমা খবর পেয়ে আলম চাদের সাথে যোগাযোগ করলে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দেওয়া হয়। সোবহানকে দু-তিনজন হলুদ সাংবাদিক বাজার খরচের বিনিময়ে সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় লিমার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় একটি সাজানো মামলাও করেছেন সোবহান। মামলা নং ১৪১ (২) ১৬। ফলে তিনি এখন এলাকা ছাড়া।
অপরদিকে আলম চাদ কালীগঞ্জ থানায় যোগ দেওয়ার আগে গাড়িটি এক প্রভাবশালী নেতার গ্যারেজে রেখে গেছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ওসি আলম চাদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি একবার বলেন, আমি কোন গাড়ি আটক করিনি। আবার বলেন, ডিবির ওসির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।