মুরগি মিলনের দাপট : কাপাসিয়ায় পুলিশের সামনেই সাংবাদিক রুবেল সরকারের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আলোকিত নিউজ ডটকমের সম্পাদক ও দৈনিক অন্যদিগন্তের নিজস্ব প্রতিবেদক রুবেল সরকারের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মিলন বাহিনী।

সোমবার বিকেলে উপজেলার রায়েদ ইউনিয়নের টানচৌড়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

গত ৩০ জুন আলোকিত নিউজে ‘কাপাসিয়ায় শিশু নির্যাতনের অভিযোগ করায় মুরগি মিলনের লাফালাফি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে প্রকাশ্যে রুবেল সরকার ও তার পরিবারকে খুন-জখম এবং মিথ্যা মামলার ব্যাপক হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

মুরগি মিলন ও তার সহযোগী মনির মোড়লের সন্ত্রাসী তৎপরতায় রুবেল সরকার ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

রুবেল সরকার জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে কাপাসিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।

এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ওসি আবু বকর সিদ্দিক।

মুরগি মিলন ও তার সহযোগীদের অপকর্ম তুলে ধরায় তারা রুবেল সরকারের বিরুদ্ধে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছেন।

সহযোগী আকবর মোড়লের বিদেশি টাকায় তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের সাথে যোগাযোগ করছেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে রুবেল সরকারের বড় ভাই জিয়াউর রহমানের দায়েরকৃত অভিযোগের আসামি আসমাকে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মুরগি মিলন।

থানায় রুবেল সরকার ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে করা হয়েছে সাজানো ডায়েরি।

সোমবার বিকেলে এসআই সেন্টু তদন্তে গেলে মিলন বাহিনী পুলিশের সামনেই রুবেল সরকারের পিতা আবদুর রশিদ সরকারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করার হুমকি দেয়।

এলাকার সিদ্দিকের দোকানের সামনে পুলিশ ও লোকজনের উপস্থিতিতে রুবেল সরকারের হাত কেটে নেওয়ার হুমকির ঘটনায় এলাকাবাসী অবাক হয়ে পড়েছেন।

এ সময় রুবেল সরকার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে এলাকার কয়েকজনের নামও জোর করে লেখা হয়।

এ ব্যাপারে এসআই সেন্টুকে মোবাইলে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এলাকাবাসী জানান, আসামি সুজন ও আসমাকে মিলন বাহিনী নিরপরাধ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে। অথচ ওই সুজন অনেকের কাছে রাতের আঁধারে গজারি বনের গাছ কাটার ওস্তাদ।

তারা আরও জানান, ইতিপূর্বে গাছ কাটা নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সুজন রক্তাক্ত হয়। তার সহযোগী মুরগি মিলন দৌড়ে পালিয়ে যান। বনের মধ্যে রাতের এ ঘটনায় দেখা দেয় ব্যাপক তোলপাড়।

অপরদিকে মুরগি মিলন টানচৌড়াপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদের টাকাও আত্মসাৎ করেছেন। মসজিদের টাকা আত্মসাতকারীর দ্বারা সবই সম্ভব বলে মুসল্লিদের অভিমত।