রক্তাক্ত ৭১ : শ্রীপুর ও সাতখামাইরে ২২ শহীদের গণকবর

শাহাদাত হোসেন সাদেক, শ্রীপুর : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে গাজীপুরের শ্রীপুরে ১০ জনকে বেঁধে এনে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

উপজেলার সাতখামাইর গ্রামের আবদুস ছাত্তারের স্ত্রী হারেছা খাতুন আলোকিত নিউজকে জানান, পাকিস্তানি সেনারা তার স্বামীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।

তার স্বামীর সাথে একই গ্রামের ইউসুফ আলী, আজম আলী, আবদুল লতিফ, গিয়াস উদ্দিন ও ছসু মোল্লাসহ ১০ জনকে হত্যা করে গণকবর দেওয়া হয়।

এর মধ্যে সাত মাসের সন্তানসম্ভবা সালেহা ও অপর একজনকে পাক সেনারা তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

যুদ্ধ শেষে উপজেলার জিনেজানের রেলসেতুর কাছ থেকে তাদের মাথার চুল ও কঙ্কাল এনে গণকবরে সমাহিত করা হয়।

বধ্যভূমিতে ১২ জনের দেহ :

শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজ মাঠের পাশে ১২ জন শহীদের গণকবর রয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার সিরাজুল হক বলেন, কেওয়া আকন্দবাড়ির আলমগীর বাদশার ছেলে নজরুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ায় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি সেনারা বাড়ি থেকে তার বাবাকে ধরে এনে হত্যা করে। তার বাবার সাথে আরও কমপক্ষে ১১ জনকে হত্যার পর গণকবর দেওয়া হয়।

আকন্দবাড়ির শহীদ সাদির আকন্দের ছেলে নুরুজ্জামান আকন্দ জানান, তার বাবা ১৯৬৫ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তরুণ যুবকদের প্রশিক্ষিত করে তোলার ভয়ে পাক সেনারা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

১৯৭১ সালের ৩ এপ্রিল টঙ্গীর অলিম্পিয়া টেক্সটাইল মিলের সামনে ফজরের নামাজ শেষে তার বাবা বাসায় ফিরছিলেন। তখন তিনি পাক সেনাদের মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করেন। কথোপকথনে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য পরিচয় পাওয়ার পর সাতটি বুলেটে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তার লাশটিও রেখে যায়নি ঘাতকরা।

আরও খবর