গাজীপুরের ভূরুলিয়ায় জমিজমার ভোগান্তি, আমজাদের বিচার দাবি

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর মহানগরীর মধ্য ভূরুলিয়া এলাকার আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী আবদুর রহিম শেখসহ অন্যদের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগগুলো তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী রহিম শেখ তার পৈতৃক জমিতে একটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু করলে আমজাদ হোসেন ও তার লোকজন চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এখন রহিম শেখের বসতবাড়িও দখলের পাঁয়তারা চলছে। এ ঘটনায় আইনি সহায়তা চেয়ে তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, আমজাদ হোসেন নানা কৌশলে মানুষকে হয়রানি করছেন। একজনের সাথে আরেকজনের জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব লাগিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। রেলওয়ের জমিও দখল করে কয়েকটি দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

তারা আরও বলেন, আমজাদ হোসেন বাইতুল আমান জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত মাসে তিনি মসজিদের জমিতে দোকান নির্মাণ শুরু করলে মুসল্লিরা বাধা দেন। এক পর্যায়ে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমজাদ হোসেন মসজিদের মোতাওয়াল্লি হাফিজ উদ্দিন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার শুরু করেন। এসব ঘটনায় জনমনে বিভ্রান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট হচ্ছে।

এদিকে ব্যবসায়ী আবু জাহের কানু জমি বিক্রি করলে আমজাদ হোসেন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে কানু আলোকিত নিউজকে বলেন, এটা অনেক আগে হয়েছিল, মীমাংসা হয়ে গেছে। আমজাদ হোসেন মাফ চেয়েছেন।

আমজাদের বক্তব্য : বিষয়টি নিয়ে আমজাদ হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সব মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেন।

আমজাদ হোসেন আলোকিত নিউজকে বলেন, তিনি রহিম শেখের কাছে ছয় শতাংশ জমি পাবেন। এটা তার মায়ের সম্পত্তি। থানা অবগত আছে।

আরও খবর