কাপাসিয়ায় জাল টাকা : ম্যানেজারের ২০ লাখ রহস্য!
পর্ব-২
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জাল টাকার বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের জট এখনো খুলেনি।
ব্যাংক ম্যানেজার তার গ্রেফতার দুই ভাইয়ের পক্ষে ২০ লাখ টাকা ক্ষতির বক্তব্য দেওয়ায় পর্যবেক্ষক মহলে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের মৈশন উত্তরপাড়া এলাকার সোলায়মান হোসেনের বাড়ি থেকে গত ৭ মে বাক্সটি উদ্ধার হয়।
এতে পাওয়া যায় ১০২টি এক হাজার টাকার জাল নোট ও বিপুল পরিমাণ জাল টাকা তৈরির কার্টিজ পেপার।
ঘটনাস্থল থেকে সোলায়মানের দুই ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আলমগীর ও সোহানুর রহমানসহ দুই বিদেশিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য আলমগীরের ছোট ভাই সোহরাব জাকির কৃষি ব্যাংকের আমরাইদ বাজার শাখার ম্যানেজার।
সেদিনকার ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে দিনভর আলোকিত নিউজের অনুসন্ধানে ওঠে এসেছে ভিন্ন কিছু তথ্য।
যেভাবে ঘটনা :
সকাল ১০টার দিকে মিয়ার বাজার মোড়ে হঠাৎ প্রাইভেটকার ভাঙচুর। টোক-কাপাসিয়া রোডে আটকা পড়ছে গাড়ি।
সোহান লোহার রড দিয়ে গাড়ি ভাঙেন। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে গেলে তিনি সটকে পড়েন।
একটু পর মোড়ে আসেন আলমগীর। তিনি বলেন, গাড়ির ড্রাইভার আমাদের এক কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। বাধা দেন কেন? আপনারা কী টাকা দিবেন?
খবর পেয়ে ব্যাংক থেকে ছুটে আসেন ম্যানেজার সোহরাব জাকির। তিনি বলেন, গাড়ি ভেঙেছে, ঠিক আছে। সে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে।
তার বক্তব্যের সময় বাজার কমিটির সভাপতি আলী হোসেন চৌধুরী রোকজু, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রধান, আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান বেপারী, সোহেল বেপারী, আবদুর রশিদ মাস্টার, আবদুল বাতেন মাস্টার, মোহাম্মদ আলী মাস্টার ও ব্যবসায়ী নূরুল আমিনসহ অর্ধশতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পরে কাপাসিয়া থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক ঘটনাস্থলে গেলে আলমগীর বলেন, বিদেশিরা জাল টাকা নিয়ে তাদের জমি কিনতে এসেছেন। তাই আটকে ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, তাদের দুই ভাইয়ের তিন রকমের বক্তব্য রহস্যজনক। আর জাল টাকার বাক্স নিয়ে জমি কিনতে আসাও অসম্ভব ব্যাপার। হয়তো দ্বন্দ্বে ধরা পড়ে জাল টাকার ব্যবসা লুকাতে তারা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে ম্যানেজার সোহরাব জাকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি আলোকিত নিউজকে একবার বলেন, কথা বলতে কর্তৃপক্ষের নিষেধ আছে। আবার বলেন, আমি ২০ লাখ টাকা ক্ষতির কথা বলিনি।