শ্রীপুরে স্ত্রীকে ১৫ টুকরা করলো কাপাসিয়ার মামুন!
নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর : গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ টুকরা টুকরা করে নদীতে নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
ঘাতক স্বামী মামুন (৩৫) কাপাসিয়া উপজেলার সিংহশ্রী ইউনিয়নের বড়িবাড়ী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
নিহত সুমি আক্তার (২২) নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার দেবকান্দা গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে।
মঙ্গলবার রাতে মামুনকে আশুলিয়ার কবিরপুর থেকে গ্রেফতারের পর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পারিবারিক কলহ ও স্ত্রীর জমানো ৪০ হাজার টাকা ভোগ করার জন্য মামুন তাকে হত্যা করেন। গত ৮ আগস্ট রাতে প্রথমে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়।
পরে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ১৫ টুকরা করে পরদিন ভোরে সিংহশ্রী সেতুর ওপর থেকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ১০ টুকরা নিক্ষেপ করেন মামুন। বাকি পাঁচ টুকরা ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ারে রেখে দেন।
গত দেড় বছর আগে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। এটি দুজনেরই ছিল দ্বিতীয় বিয়ে।
সুমি শ্রীপুরের গিলারচালা এলাকার গ্রিনটেক গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। মামুন পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।
তারা স্থানীয় বিপুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সুমির ছোট বোন বৃষ্টি আক্তারের অভিযোগে পুলিশ ঈদের দিন রাতে বাসা থেকে পলিথিনে মোড়ানো মাংস উদ্ধার করে।