কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর বিটে বনের জমিতে ফাউন্ডেশন!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরের কাপাসিয়ার সূর্যনারায়ণপুর বিটে বনের জমি দখল করে ফাউন্ডেশন দিয়ে বাড়ি করা হচ্ছে।
গত দুই বছর ধরে তা থেমে থেমে চললেও অদ্যাবধি কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে জানা যায়, রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের সূর্যনারায়ণপুর বিটের বামনগাঁও এলাকার খোরশেদ আলমের দখলীয় জমি তিন একর। ওই জমিতে তিনি বাড়ি এবং দুটি পোলট্রি ও একটি গরুর ফার্ম করেছেন। দুই বছর আগে মাটির ঘরের সাথে চার শতাংশ জমিতে শুরু হয় তিন তলা বাড়ির নির্মাণ কাজ।
নির্মাণ কাজের শুরুতে বিট কর্মকর্তা ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। তিনি বদলি হলে দায়িত্ব নেন বজলুর রহমান। বজলুর রহমান বদলি হলে দায়িত্বে আসেন হাবিবুর রহমান।
এই তিন কর্মকর্তাই কম-বেশি সুবিধা নিয়েছেন। প্রথমে সিরাজুল ইসলাম স্টাফ নিয়ে বাধা দিতে গিয়ে হামলার শিকার হন। দুটি বন মামলা করার পর তাকে ম্যানেজ করা হয়।
বজলুর রহমানের সময়ে কিছু কাজ হয়েছে। হাবিবুর রহমান যোগদান করার পর ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে এলাকাবাসী প্রধান বন সংরক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করলে কাজ থেমে যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খোরশেদ আলম ও তার ছেলে মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা পত্তনমূলে জমির মালিক। ১৯৮০ সালে আদালত থেকে রায় পেয়েছি।
১৩২, ১৩৩, ১৩৪ ও ১৩৫ নং দাগের ওই জমি বনের নামে গেজেটভুক্ত কি না, জানতে চাইলে মোশারফ হোসেন বলেন, গেজেট না। এ সময় খোরশেদ আলম ছেলেকে হালকা ধমক দিয়ে বলেন, বনের নামে গেজেট।
এরপর রাজাবাড়ী বাজারের দোকানে বসে কাগজপত্র দেখান মোশারফ হোসেন। তাতে দেখা যায়, খোরশেদ আলম ১৯১/৮০ নম্বর মামলায় একতরফা রায় ও ডিক্রি পেয়েছেন।
পরে খোরশেদ আলম গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরএস রেকর্ড সংশোধনীর মামলা করেন। মামলা নম্বর ৫৪/১১। বিচারক শুনানি শেষে তার আবেদন নামঞ্জুর করেন।
একই সাথে সরকারের স্বার্থ বিদ্যমান থাকায় বন বিভাগকে ওই একতরফা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে বলা হয়। কিন্তু বন বিভাগ এখনো প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সূর্যনারায়ণপুর বিট অফিসে গিয়ে বিট কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত আবদুল হাই বলেন, বিট কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। ওপরের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
জানতে চাইলে সহকারী বন সংরক্ষক এনামুল হক আলোকিত নিউজকে বলেন, আমি জবর দখল দেখেছি। শোকজ করেছি ফরেস্টারকে। কী জবাব দেন দেখি।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, খোরশেদ আলমকে শ্রীপুরের একজন নেতা সহযোগিতা করছেন। তাই দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকার পরও তাদেরকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।