গাজীপুরে বনের ভেতর আস্তানা গড়ে গাছ লুট!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে সংরক্ষিত বনের ভেতর আস্তানা গড়ে মূল্যবান গাছ লুট করা হচ্ছে।
জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাউপাড়া বিটের গজারিয়া পাড়ার মানিকদীঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটছে।
এরই মধ্যে আলোকিত নিউজের দেওয়া তথ্যে দুবার অভিযান চালিয়ে গাছ ও কাঠ উদ্ধার করেছে বিট অফিস।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মানিকদীঘি নামে পরিচিত ১৭ বিঘা আয়তনের পুকুরটি বনের নামে গেজেটভুক্ত। আগে এটি ঢাকার জনৈক আবদুল মালেকের ভোগদখলে ছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে।
পুকুরটি ২০১৫ সালে এক বছর ভিত্তিতে লিজ দেয় বন বিভাগ। গাজীপুর আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত বনের রিটেইনার অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু তার ভাই জহিরুল ইসলামের নামে লিজ বাগিয়ে নেন। তাদের বাড়ি কালিয়াকৈর উপজেলায়।
এরপর ২০১৬ সালে মেয়াদ শেষ হলে লিজ আর নবায়ন হয়নি। হাইকোর্টে ওই মালেক একটি রিট করলে কৌশলে পাল্টা রিট করেন জহির। দুই বছর ধরে লিজ ছাড়াই তারা মাছ চাষ করছেন।
পুকুরের পূর্ব পাড়ে আকাশমনি বাগানের ভেতর আগে টিনশেড ঘর ছিল একটি। দুটি বাড়িয়ে এখন করা হয়েছে তিনটি। সেখানে জহির তার বন্ধু নাহিদ ও কর্মচারী নিয়ে বাস করেন।
আলোকিত নিউজের কাছে আসা ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাতের আঁধারে কুড়াল ও করাত দিয়ে আকাশমনি গাছ কাটা হচ্ছে। কয়েকজনের সাথে নাহিদও গাছ কাটছেন। একাধিক গাছ কেটে মোথা উঠিয়ে ঘরগুলো করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা খন্দকার আরিফুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে চিনতে না পারায় নাহিদকে আসামি করা যায়নি।
এদিকে জহির ও নাহিদ পুকুর পাড়ের বন থেকে অন্তত ১০টি গাছ কাটেন। এর মধ্যে চারটি গজারি ও ছয়টি আকাশমনি। গত ২৩ ডিসেম্বর ঘটনাটি জানালে অভিযান চালায় বিট অফিস।
এ সময় পুকুর থেকে কিছু গাছ উদ্ধার করা হয়। পরদিন স’মিলে চিড়াই করে পাচারকালে বাংলাবাজার এলাকা থেকে ২৭ ঘনফুট কাঠ আটক করা হয়।
বিট কর্মকর্তা বলেন, জহির ও নাহিদ বনের গাছ কাটার পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতিসাধন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
একাধিক এলাকাবাসী জানান, জহির তার ভাইয়ের দাপট দেখিয়ে গাছ লুট করছেন। তাদের আস্তানার কাছে গেলে বাধা দেওয়া হয়। কিছু বললে হামলা-মামলার হুমকি দেন। বনভূমি রক্ষায় আস্তানাটি উচ্ছেদ করা জরুরি।