গাজীপুরে যত্রতত্র ভেজাল দুধ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ঘুমে!

আলোকিত প্রতিবেদক : হাড়িনাল এলাকার এক দুধ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পাঁচ লিটার দুধ কিনেছিলাম। লিটারপ্রতি ৭০ টাকা দরে তিনি দুধ বড় বোতলে ভরে সাইকেলে করে বাসায় নিয়ে আসেন।
এরপর তা কয়েকটি ছোট বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখা হয়। খাওয়ার জন্য স্বাভাবিক করে ছাঁকলে গুঁড়া দুধের মত দানা ছাঁকনিতে জমে। প্রতিটি বোতলেই গুঁড়া দানা দেখা যায়। স্বাদও খাঁটি দুধের মত নয়।
গাজীপুর মহানগরীর ছায়াবীথি এলাকার গৃহবধূ রুবিনা আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেন। তার মত এ ধরনের অভিযোগ অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর জোড়পুকুর রোডের ডাচ-বাংলা ব্যাংক, শাহীন স্কুল ও স্বপ্নের আশপাশ, হাড়িনাল বাজার, জয়দেবপুর বাজারের মুক্তমঞ্চ এবং ভোগড়া বাইপাস এলাকার কাঁচামালের আড়তের আশপাশসহ বিভিন্ন স্থানে দুধ বিক্রি করা হয়। তাদের মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছেন।
আবার কিছু ব্যবসায়ী বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, মিষ্টির দোকান ও মুদি দোকানে দুধ সরবরাহ করেন। তাদের মধ্যেও ভেজাল ব্যবসায়ী আছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভেজালকারীদের মধ্যে কেউ কেউ গরুর খামার থেকে দুধ কিনে বাসায় এনে পানি, ডিটারজেন্ট পাউডার ও গুঁড়া দুধ মেশান। আবার কেউ কেউ বিদেশি জাতের গাভি পালন করে দুধের সাথে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রি করেন।
ভোক্তারা জানান, ভেজাল দুধের ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে চললেও সিটি করপোরেশন ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের তৎপরতা দেখা যায় না। সাধারণ মানুষ সহজে ভেজাল বুঝতে পারে না। অনেকে শিশু সন্তানের জন্য বাধ্য হয়ে দুধ কিনেন।
ভেজাল দুধের কারণে হাড়ের গঠন, মেধা বিকাশ ও পুষ্টির চাহিদা পূরণের বদলে শারীরিক অসুস্থতা বাড়ছে। জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের ফুড এন্ড স্যানিটেশন অফিসার মলয় কুমার দাসের সাথে দুদিন মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল ধরেননি।