গাজীপুরের ভবানীপুরে বনভূমি দখলের হিড়িক
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে বনভূমি দখলের হিড়িক পড়েছে।
স্থানীয় বন কর্মকর্তারা রহস্যজনক কারণে নীরব থাকায় দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে জানা যায়, ভবানীপুর এলাকা রাজেন্দ্রপুর রেঞ্জের সিংড়াতলী বিট অফিসের অধীনে। শিল্প কারখানা অধ্যুষিত এলাকাটিতে জমির দাম আকাশচুম্বী। কিছু লোক বনের জমি অবাধে দখল করছেন।
ভবানীপুর বাজারে অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের একটু দক্ষিণে ইউনিমিক্স লিমিটেড। এর সাথেই বেড়া দিয়ে ঢেকে বনের জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে বাড়ির মালিক আলমগীর হোসেন বলেন, এখানে আমি তিন শতাংশ জমি কিনেছি। পরে শুনি এই জমি বনের নামে গেজেট হয়েছে। আমার মত অনেক আছে।
বিট অফিস বাধা দিয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, বনের লোক একবার এসেছিল। পরে একজনকে দিয়ে কথা বলিয়েছি।
ভবানীপুর বাজারের পশ্চিমে ফোমেক্স ফোম কারখানার পেছনে বনের জমিতে বেড়া দিয়ে চারটি বড় ঘরের নির্মাণ কাজ করছেন মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন।
তিনি বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রী একজনকে ফোন ধরিয়ে দেন। মেয়ের জামাই পরিচয়ে ওই ব্যক্তি নানা কথা ঘুরিয়ে এক পর্যায়ে বলেন, তাদের নামে দুটি রেকর্ড আছে। আরএস রেকর্ড নেই।
স্কুল রোডে মোহাম্মদীয়া গ্রুপের পশ্চিমে তেঁতুলতলায় বাড়ির সাথে বনের জমিতে মার্কেটের নির্মাণ কাজ করছেন মাহবুবুর রহমান। সেখানে দোকান আটটি।
মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা আসলেন কেন? এটা তো ফরেস্টারের বিষয়।
স্কুল রোড থেকে মোহাম্মদীয়া গ্রুপের একটু উত্তরে লোকমান হোসেনের বাড়ি। সেখানে বনের গেজেটভুক্ত তিন গন্ডা জমি কিনে বাড়ির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছেন কাপাসিয়ার আসাদুল।
এভাবে ভবানীপুর মাইছপাড়ায় বনের জমিতে আটটি ঘরের নির্মাণ কাজ করছেন ময়না। তাদের বাড়ি থেকে একটু পশ্চিমে সাতটি ঘরের নির্মাণ কাজ করছেন রাফাতুল্লাহ। তিনি এর আগে ১৯টি পাকা ও টিনশেড ঘর করেছেন।
এ ছাড়া ভবানীপুর বাজারের পূর্ব দিকে গুচ্ছগ্রাম রোডে লীরা গ্রুপের জমির পেছনে বনের জমিতে চারটি আধা পাকা ঘর করেছেন আরজু পাগলা।
এসব ঘটনা সিংড়াতলী বিট কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে একাধিকবার জানালেও তিনি দৃশ্যত কোন ব্যবস্থা নেননি।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে বিষয়টি পাশ কাটান।