গাজীপুরের শিরিরচালায় বনের জমি দখল করছে ইভিন্স গ্রুপ!
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুর সদরের শিরিরচালায় ইভিন্স গ্রুপের বিরুদ্ধে বনের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ভাওয়াল রেঞ্জের সিংড়াতলী বিট এলাকার সিএস ২৫১ নং দাগসহ কয়েকটি দাগের জমি বন বিভাগের নামে গেজেটভুক্ত। মাহনা ভবানীপুর মৌজার শিরিরচালায় জমি কিনে টেক্সটাইলসহ তিনটি বড় কারখানা করেছে ইভিন্স গ্রুপ। এর মালিক বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী।
পূর্ব পাশের কারখানাটি আরও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সিংড়াতলী বিট অফিস রোডের ওই কারখানার দক্ষিণ অংশে বনের জমি। সেখানে বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। খালি জায়গায় বালু ফেলে রাস্তা তৈরির কাজ চলছে।
স্থানীয়রা জানান, কারখানার ভেতরে অনেক বনের জমি আছে। বিট অফিস বাউন্ডারি ওয়াল করার সময় বাধা দিয়ে কিছু সরঞ্জামও জব্দ করেছিল। পরে আর কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
কারখানার মালিক ছয় মাস আগে স্থানীয় আতর উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন ও মনসুরের কাছ থেকে ২৫ শতাংশ এবং তাদের চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে আধা বিঘা জমি কিনেন। হুমায়ুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বনের জমির কথা শুনে বিষয়টি পাশ কাটান।
পরে আরেক জমি বিক্রেতা কাইয়াপাড়ার সুলতান উদ্দিনের সাথে কথা হয় আলোকিত নিউজ টিমের। বাড়ির পাশেই তার ছেলে মজিবুর, মোস্তাক ও হাবিবুর তিনটি পাকা বাড়ি করছেন। ওই জমিও বনের।
সুলতান উদ্দিন বলেন, এই জমি আমাদের দুই রেকর্ডের। আরএস রেকর্ড নেই। কারখানার ভেতরেও এমন জমি আছে।
পরে তার তিন ছেলের বাড়ির বিষয়টি বিট কর্মকর্তাকে জানালে তিনি গিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। কিন্তু গোপনে কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইভিন্স গ্রুপে যোগাযোগ করলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের জমির বিষয়টি এলাকার মোহাম্মদ আলী জানেন। তিনিই সব জমি কিনে দিয়েছেন।
ডিমারগেশন আছে কি না, জানতে চাইলে বলেন, ডিমারগেশন থাকার কথা। আমি মোহাম্মদ আলীর সাথে বিট অফিসে গিয়ে কাগজপত্র দিয়েছি।
মোহাম্মদ আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, স্বর্ণে খাদ থাকতে পারে, কারখানার জমিতে নেই। ডিমারগেশন করা আছে।
এ ব্যাপারে সিংড়াতলী বিট কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, আবেদন করলেও তাদের ডিমারগেশন হয়নি। আমি কাজ বন্ধ করতে বলেছি।
কাজ অব্যাহত থাকার বিষয়টি জানালে তিনি আবার গিয়ে দেখবেন বলে জানান। যদিও কারখানাটি বিট অফিস থেকে কাছে এবং রোডও একই।