গাজীপুরে হেলথকেয়ার ফার্মার বনদস্যুতা চলছেই
আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এলাকায় বনভূমি দখল ও বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে অমান্য করে দাপট দেখাচ্ছেন হেলথকেয়ার ফার্মার দানবীর দাবিদার আলাউদ্দিন আহমেদ।
ফলে সরকারি সম্পদ বেহাতের পাশাপাশি পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংকটের হুমকিতে পড়ছে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান।
এর আগে ঘটনাটি নিয়ে গত ২৭ মে আলোকিত নিউজ ডটকমে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত করে বন বিভাগ। বিষয়টি সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও আলোচনা হয়।
সরেজমিনে জানা যায়, মহানগরীর রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার পশ্চিমে বাংলাবাজার রোডে গজারিয়া পাড়ায় হেলথকেয়ার অবস্থিত। জাতীয় উদ্যান থেকে এর দূরত্ব পৌনে এক কিলোমিটার। কারখানাটির বাউন্ডারি ঘেঁষে তিন দিক দিয়ে গজারি বন ও আকাশমনি বাগান।
ভেতরে ঢুকতে পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে বড় ভবন। এর মধ্যে বনের জমি আছে বলে অভিযোগ। বাউন্ডারির পাশে মারা যাচ্ছে বড় গজারি গাছ।
এ ছাড়া কারখানাটি শুরুতেই সংরক্ষিত বনের আরএস ৩৩৪ ও ৩৩৬ নং দাগের ৩০ শতাংশ জমি দখল করেছে। তাতে গড়ে উঠেছে গেটসহ প্রবেশের রাস্তা ও বিদ্যুৎ স্টেশন।
কারখানার পশ্চিম ও দক্ষিণে আরও নতুন অন্তত সাতটি বড় ও বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এগুলোতে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
অথচ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ বলছে, সরকার ঘোষিত অভয়ারণ্য এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত কোর জোন। এর মধ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা পরিচালনা দণ্ডনীয় অপরাধ।
এদিকে ১০/০৭ নম্বর উচ্ছেদ মামলার প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে করা জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ তালিকায়ও হেলথকেয়ারের নাম রয়েছে। কিন্তু গত নয় বছরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাদের ডিমারগেশন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও নেই।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জহির উদ্দিন আকন আলোকিত নিউজকে বলেন, হেলথকেয়ারের বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টিতে আছে। তাদেরকে বনের জমি ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে।