গাজীপুরে এসএসসির ফরম পূরণে রমরমা বাণিজ্য

আলোকিত প্রতিবেদক : গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে রমরমা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু সতর্ক করায় দৌরাত্ম্য থামছে না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার স্কুল ও মাদ্রাসায় ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

বোর্ড নির্ধারিত ফি অনুযায়ী, কেন্দ্র ও ব্যবহারিক খরচসহ বিজ্ঞান বিভাগে ১৮০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষায় ১৬৮০ টাকার বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই।

নগরীর চা বাগান এলাকায় কাজী রাজিয়া সুলতানা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে নিয়মবহির্ভূত খাত দেখিয়ে আদায় করা হয়েছে সাত হাজার টাকা করে।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক নূরুন্নাহার আলোকিত নিউজকে বলেন, এত টাকা না, কোচিং ও পরীক্ষার ফিসহ ছয় হাজার টাকার কম হবে।

জোড়পুকুর রোড এলাকার গাজীপুরশাহীন ক্যাডেট একাডেমিতে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা ও ক্যামফোর্ড স্কুলে ৪৬০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

এর মধ্যে গাজীপুরশাহীনের শ্রীপুরের মাওনা শাখায় আদায় করা হয়েছে ৪২০০ টাকা করে। ঘটনাটি তদন্ত করেছেন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।

রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার পশ্চিমে জাঙ্গালিয়াপাড়া এলাকায় ওহাব আইডিয়াল পাবলিক স্কুল অবস্থিত। তাদের আরেকটি ক্যাম্পাস নয়াপাড়ায়।

স্কুলটিতে বিজ্ঞানে ৫৩০০ টাকা ও ব্যবসায় শিক্ষায় ৫১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। রসিদে কথিত উন্নয়ন ফি দেখানো হয়েছে চার হাজার টাকা। এতে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মুসা কালিমোল্লার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার নাম্বার পেলেন কোথায়? আমি গাড়িতে আছি, পরে কথা বলব। এরপর আরও সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রাইভেট স্কুল হিসেবে কালিয়াকৈরের এম ই এইচ আরিফ ইনস্টিটিউট বেশ আলোচিত। তারা আট হাজার টাকা করে আদায় করেছেন।

একাধিক অভিভাবক বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের কথা চিন্তা করে তারা প্রতিবাদ করতে পারছেন না। এ ধরনের নৈরাজ্য বন্ধ করা উচিত।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা আলোকিত নিউজকে বলেন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কঠোর ভাষায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। যখনই অভিযোগ পাচ্ছি, সাথে সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ডেকে কথা বলছি।

তিনি বলেন, আজমতপুর স্কুল এন্ড কলেজের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে অধ্যক্ষকে ফোন দিয়ে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছি।

ডিইও আরও বলেন, চুরি করে কেউ কিছু করলে সব তো জানা যায় না। আপনারা জানলে আমাদের জানাবেন, ব্যবস্থা নেব।

আরও খবর