ফেসবুকের পরিচয়ে ঢাকা থেকে শ্রীপুরে, অতঃপর লাশ হয়ে সেপটিক ট্যাংকে!

নিজস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর : অপহরণের পর ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে যুবককে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রেখেছিল অপহরণকারীরা।

ঘটনার পাঁচ মাস পর গাজীপুরের শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড (দারোগাচালা) এলাকার রহিম মোল্লার বাড়ির ট্যাংকি থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত আমির হোসেন (২৫) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার তুলাচারা এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ঢাকার আশকোনা এলাকায় থাকতেন।

এ ঘটনায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার তাজুল ইসলাম জামে মসজিদ থেকে তারেক আহমেদকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নাটোর সদরের রুয়েরবাগ এলাকার আবদুল জলিলের ছেলে।

নিহতের বড় ভাই ও মামলার বাদী বিল্লাল হোসেন জানান, আমির হোসেন গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আশকোনা থেকে নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান না পেয়ে দক্ষিণখান থানায় মামলা করা হয়। তার কাছে মোবাইলে একাধিকবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রেজিয়া খাতুন জানান, আসামি তারেক আহমেদ পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে শ্রীপুরে বাসা ভাড়া নেন। তিনি অপহরণকারী গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ও সমকামী। আমিরের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তার পরিচয় হয়েছিল।

এসআই আরও জানান, তারেক মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আমিরকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে তিনি গ্রামের বাড়িতে চলে যান। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের পর লাশের সন্ধান পাওয়া যায়।

আরও খবর